কলকাতা: রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই কার্যকর হয়ে গিয়ে আদর্শ আচরণবিধি (Model Code Of Conduct)। এই সময়ে প্রশাসনের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণই থাকে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হাতে। যে কারণে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আঘাত পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার দিকেই আঙুল তুলেছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসকদলকে পালটা কড়া চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র লোকসভা এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করে। সুতরাং, এটা বলা ভুল যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পুরো দায়িত্বভার নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে রীতিমতো তুলোধনা করা হয় শাসকদলকে।
তৃণমূলের তরফে যে চিঠি কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল সেখানে যে ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়েও তীব্র আপত্তি জানানো হয়। নন্দীগ্রামের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রকে অপসারণ করা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল শাসকদল। তার জবাবে লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ডিজিকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আলাদা বুদ্ধি কাজ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের ডিজি সরানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি রাজ্যে আসা বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাস্তবেই মমতার আহত হওয়ার এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এবং সমগ্র ঘটনার কঠোর তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিশনের তরফে। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই এই নালিশ করা হয়েছে বলে পালটা জবাবে দাবি করেছে কমিশন। পাশাপাশি বুধবারের ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল, কমিশন যে সেটার অপেক্ষায় রয়েছে তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে কড়া চিঠি কমিশনের, ৩২৪ ধারা টেনে এনে তুলোধনা
বৃহস্পতিবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল দাবি করে, ‘এটি ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র’। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ডেরেক ও’ব্রায়েনরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উপর যে আঘাত হানা হবে, তার পূর্বাভাস ছিল।” তাঁদের দাবি, বিজেপি সাংসদদের পোস্টে ও বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে এরকম কিছু ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও কমিশন তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগই কার্যত নস্যাৎ করে যদিয়েছে।
আরও পড়ুন: দৈনিক ৭০০ টাকা মজুরি, বিদ্যুতে ভর্তুকি, কৃষকদের দেড়গুণ আয়, বামেদের ইস্তেহারে গুচ্ছ চমক