ECI New Rules: ভোটার তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ দিতে পারবে না অন্য কেউ! নির্বাচন কমিশন করল নতুন ব্যবস্থা
Election Commission of India: আদৌ ভোট চুরি হয়েছে কি না, সেই নিয়ে যখন তরজা তুঙ্গে, তখনই জাতীয় নির্বাচন কমিশন নতুন নিয়ম আনল। অনলাইনে ভোটারের নাম সংযোজন, বাদ দেওয়া বা পরিবর্তনের আবেদন করা হয়, তাহলে আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত বা লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে।

নয়া দিল্লি: ভোটার কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India)। আর ভোট চুরির অভিযোগ তোলা যাবে না, ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না নামও। এমন ব্যবস্থাই করছে কমিশন। কী এই ব্যবস্থা? দেশের সাধারণ মানুষকেই বা কী করতে হবে তালিকায় নাম রাখার জন্য?
ভোট চুরি হয়েছে কর্নাটকে। এই অভিযোগে সরব কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি ছিল, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভায় অন্তত ৬ হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আদৌ ভোট চুরি হয়েছে কি না, সেই নিয়ে যখন তরজা তুঙ্গে, তখনই জাতীয় নির্বাচন কমিশন নতুন নিয়ম আনল। অনলাইনে ভোটারের নাম সংযোজন, বাদ দেওয়া বা পরিবর্তনের আবেদন করা হয়, তাহলে আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত বা লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এত দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলার (ফর্ম ৬), নাম বাদ দেওয়া (ফর্ম ৭) বা তথ্য সংশোধনের (ফর্ম ৮) জন্য ফর্ম ফিল-আপের সময় ভোটারের এপিক নম্বর দিতে হত। আলাদাভাবে আর কোনও তথ্য যাচাই হত না। এবার ফর্ম ফিলআপের সময় আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশন বা যাচাই করতে হবে।
নতুন ব্যবস্থা-
নির্বাচন কমিশন নিজেদের পোর্টালে চালু করেছে নতুন ‘ই-স্বাক্ষর’ ব্যবস্থা।
- এখন থেকে ভোটার কার্ড তৈরি, নাম বাদ দেওয়া বা সংশোধনের জন্য ফর্ম ফিল-আপের সময়েই আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
- ফর্ম জমা দেওয়ার সময়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ‘ই-স্বাক্ষর’ পোর্টাল খুলে যাবে।
- সেখানে আবেদনকারীকে আধার নম্বর দিতে হবে।
- আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিলে তবেই আবেদন জমা পড়বে।
সূত্রের খবর, এক মাস আগেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের আইটি বিভাগ কাজ করছিল এতদিন। নতুন ই-স্বাক্ষর ব্যবস্থায় ভুয়ো আবেদন বা অবৈধ ভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা নির্বাচন কমিশনের।
