Fake Doctors: ভুয়ো চিকিৎসকরা সমাজের জন্য বিপদের, এবার খড়্গহস্ত হাইকোর্ট

Aug 16, 2024 | 3:01 PM

Fake Doctors: হাইকোর্ট বলে, প্রকৃত চিকিৎসক ভেবে সাধারণ মানুষ চিকিৎসার জন্য যান। আর এইসব চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের জীবন নিয়ে খেলা করেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

Fake Doctors: ভুয়ো চিকিৎসকরা সমাজের জন্য বিপদের, এবার খড়্গহস্ত হাইকোর্ট
প্রতীকী ছবি

Follow Us

চেন্নাই: শরীর খারাপ হলে চিকিৎসকের কাছে যান সাধারণ মানুষ। কিন্তু, সেই চিকিৎসক যদি ভুয়ো হন। যথাযথ ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও যদি রোগী দেখেন। তাহলে সমস্যায় পড়েন রোগীরা। ভুয়ো চিকিৎসকদের নিয়ে এবার কড়া মন্তব্য করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ভুয়ো চিকিৎসকরা সমাজের জন্য বিপদের বলে মন্তব্য করল। একইসঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনও ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা করে অ্যালোপথি চিকিৎসা করা গুরুতর বিষয় বলে মন্তব্য করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি মুরলী শঙ্কর। ওইসব চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ভুয়ো চিকিৎসকরা সমাজের জন্য বিপদের। আবার অনেকে ডিপ্লোমা শংসাপত্রকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে দেখিয়ে অ্যালোপথি চিকিৎসা করছেন। সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রকৃত চিকিৎসক ভেবে যাচ্ছেন। এটা গুরুতর বিষয়। শক্ত হাতে এর মোকাবিলা করা দরকার সরকারের। পুলিশকে ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট বলে, ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে পুলিশ। শুধুমাত্র জরিমানা আদায় করে তারা সন্তুষ্ট থাকে।

অমৃতলাল নামে এক ব্যক্তি তামিলনাডু সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ওই ব্যক্তির একটি নার্সিংহোম ও ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর কাছে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। জরিমানা আদায় ঠিক ছিল না। এবং তিনি দাবি জানানোর পরও জরিমানার টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ রুখতে হাসপাতালগুলিকে একাধিক নিয়ম মানতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, সরকারি আধিকারিকরা অমৃতলালের নার্সিংহোমে পরিদর্শনের সময় দেখেন, সেইসব নিয়ম মানা হয়নি। তাই, জরিমানা করা হয়। পরিদর্শনের সময় তোলা ছবিও আদালতে জমা দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।

অমৃতলালের আইনজীবী জি থালাইমুথারাসু দাবি করেন, এই পুরো পরিদর্শন ছিল নাটক। তাঁর মক্কেলের কাছে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক। সেই টাকা না দেওয়াতেই তাঁর মক্কেলের নার্সিংহোম পরিদর্শন করে জরিমানা করেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

আদালত জানায়, সরকারি নির্দেশ পালন করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি অমৃতলাল। একইসঙ্গে ১ লক্ষ টাকা চাওয়ার বিষয়টিও মস্তিষ্কপ্রসূত। তাই, আদালত সরকারকে জরিমানার টাকা ফেরতের নির্দেশ দেবে না।

শুনানির সময় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ওই নার্সিংহোমে পর্যাপ্ত ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন হোমিপ্যাথি চিকিৎসা করছেন। অমৃতলাল তাঁদের মধ্যে একজন। স্বাস্থ্য দফতরের এই কথা শুনেই উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি মুরলী শঙ্কর। অমৃতলালের যথাযথ ডিগ্রি না থাকার কথা জেনেও কেন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি, তা জানতে চান বিচারপতি। অমৃতলাল ও ওই নার্সিংহোমের অন্য চিকিৎসকদের যথাযথ ডিগ্রি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য দফতরকে বিচারপতি নির্দেশ দেন।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article