AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fetus in Fetu: ৪০ দিনের শিশুর পেটে ভ্রূণ! ঘটনায় অবাক চিকিৎসকেরা

Rare Medical Case: এই ঘটনা নিয়ে ওই রহমানিয়া মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক তাবরেজ আজিজ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয়, ফিটাস ইন ফিটু অর্থাৎ শিশুর পেটে ভ্রূণের উপস্থিতি। এটি খুবই বিরল রোগ।”

Fetus in Fetu: ৪০ দিনের শিশুর পেটে ভ্রূণ! ঘটনায় অবাক চিকিৎসকেরা
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 7:51 PM
Share

মোতিহারি:  ৪০ দিনের শিশু। জন্মের পর ঠিক থাকলেও ইদানীং তার পেট অস্বাভাবিক ফুলে গিয়েছে। ঠিক মতো প্রস্রাবও করতে পারছে না সে। চিন্তিত শিশুর পরিবারের লোকেরা নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। কী হয়েছে তা জানতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয় ওই শিশুর। সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের মাথায় হাত। ৪০ দিনের শিশুর পেটে বাড়ছে ভ্রূণ। সম্প্রতি এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিহারের মোতিহারির ওই শিশু। এর পর তার অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

৪০ দিন আগে বিহারের মোতিহারির রহমানিয়া মেডিক্যাল সেন্টারে জন্মান ওই শিশু। জন্মের পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিন কয়েক আগে থেকেই তার পেট ফুলে যেতে থাকে। মূত্রও ঠিক মতো হচ্ছিল না বলে চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। ফের তাকে রহমানিয়া মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। তখন কমপিউটেড টোমোগ্রাফি সিটি স্ক্যান করানো হয়। সেই স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে তো চিকিৎসকদের মাথায় হাত। ওই টুকু শিশুর পেটেই বাড়তে শুরু করেছে ভ্রূণ।

বিরল এই ঘটনা নিয়ে ওই রহমানিয়া মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক তাবরেজ আজিজ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয়, ফিটাস ইন ফিটু অর্থাৎ শিশুর পেটে ভ্রূণের উপস্থিতি। এটি খুবই বিরল রোগ।” তিনি জানিয়েছেন, এই বিরল রোগ পাঁচ লক্ষ শিশুর মধ্যে এক জনের হয়। ৪০ দিনের ওই শিশুটিরও একই অবস্থা হয়েছিল। তার পর তার অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফলও হয়েছে এবং শিশুটি এখন ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের পর শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

ফিটাস ইন ফিটুব্যাপারটি আসলে কী?

যমজ সন্তানদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি শিশুর মধ্যেই অন্য শিশুর ভ্রূণ বাড়তে থাকে। তবে খুব বেশি বাড়তে পারে না। প্রথম শিশুটির জন্মের পর তার পেটে সেই ভ্রূণের খোঁজ মেলে। বেশি দেরিতে ধরা পড়লে, সদ্যোজাতর টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।