AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PM Modi-Governor: পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে বিতর্কের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজ্যপালের

PM Modi-Governor: সোমবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। তারপর এদিন বিকালে PMO-এ গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

PM Modi-Governor: পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে বিতর্কের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজ্যপালের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস।Image Credit: টিভি৯ বাংলা
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2023 | 10:21 PM
Share

নয়া দিল্লি: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বেধেছে রাজ্যপালেরও। এই আবহে যখন পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দিন স্থির করতে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস (C.V Anand Bose)। মঙ্গলবার বিকালে PMO-এ গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল। দুজনের মধ্যে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এটা সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলেই পিএমও-র তরফে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। তারপর এদিন বিকালে PMO-এ গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে মধ্যে একপ্রস্থ বৈঠকও করেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। যদিও ঠিক কী নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হল, তা স্পষ্ট নয়। তবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপাল আলোচনা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গ দিবসও হোক বলে দাবি তোলেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস করার দাবি জানান। যদিও তার তীব্র বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, রাজ্যের আপত্তি উপেক্ষা করেই রাজভবনে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাধে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসাবে ১ বৈশাখের দিন উত্থাপন করেন। সকলের মতামত জানতে এদিন নবান্ন-এ সর্বদলীয় বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে রাজ্যপালের দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার রাজনীতিকদের অনেকের মতে, আগামী ৩১ অগস্ট মুম্বইয়ে বসতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে যেমন বিরোধীরা ঘর গোছাতে শুরু করেছে, তেমনই কেন্দ্রের শাসকদলও তৎপর। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে চরম হিংসার সাক্ষী হয়েছে বাংলা। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দলের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সরব হয়েছিলেন। রাজ্যপালের মুখে এই বিষয়টি বারংবার শোনা গিয়েছে। তাই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকের আগে রাজ্যপাল-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।