Centre to Supreme Court: ‘রাজ্যপাল কোনও বহিরাগত নন’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
Centre to Supreme Court: এমনকি, রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালের এই বিল অনুমোদন-খারিজের ক্ষমতা তাদের সর্বোচ্চ অধিকারের মধ্যে পড়ে, তাই এটিকে কোনও সময়ের বাঁধনে আনা যাবে না বলেই মত প্রকাশ কেন্দ্রের।

নয়াদিল্লি: কেন্দ্র ও শীর্ষ আদালতের মধ্যে টানাপোড়েনটা যেন একটু বেড়েছে। মাস কতক আগে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির বিল অনুমোদন প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের রায়। তারপর থেকে দুই সাংবিধানিক সংগঠনের মধ্য়ে দূরত্বটা যেন অনেকটাই বেড়েছে।
এই আবহেই শীর্ষ আদালতে নিজেদের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করল কেন্দ্র। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানালেন, ধারা ২০০ যা রাজ্যপালকে কোনও বিল পাশ করানোর ক্ষমতা দিয়ে থাকে এবং ধারা ২০১, যা রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য রাজ্যপালকে একটি বিল স্থগিতের ক্ষমতা দিয়ে থাকে, তাতে কোনও রকম বদল সংবিধান পুর্নলিখনের সমান।
রাজ্যপাল যে বহিরাগত নয়, সেই কথাটা সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিন তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতকে জানান, “রাজ্যপাল কেবল একটি রাজ্যের প্রতিনিধি বা কোনও বহিরাগত নন। বরং সমগ্র দেশের জনগণের ইচ্ছাশক্তিকে তিনি একা একটি রাজ্যের মধ্য়ে শুভাকাঙ্খী হিসাবে বহন করেন।” এমনকি, রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালের এই বিল অনুমোদন-খারিজের ক্ষমতা তাদের সর্বোচ্চ অধিকারের মধ্যে পড়ে, তাই এটিকে কোনও সময়ের বাঁধনে আনা যাবে না বলেই মত প্রকাশ কেন্দ্রের।
কিন্তু হঠাৎ করেই শীর্ষ আদালতে কেন এত কথা বলতে হল কেন্দ্রকে? রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি কোনও বিলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের কাছে রেখে দিতে পারে না বলেই মাস কয়েক আগে রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, একটি বিল কত দিনের মধ্যে পাশ, খারিজ বা বিবেচনার জন্য় পাঠানো হবে, সেই নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে ডেডলাইন বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর তাতেই আপত্তি কেন্দ্রের। যা প্রকাশ পাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।
তবে এই নিয়ে যে একেবারে চূড়ান্ত রায় দিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এমনটাও নয়। আগামিকাল অর্থাৎ ১৯ অগস্ট রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের বিল পাশের সময়সীমা নিয়ে ফের শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। এই শুনানির জন্য ইতিমধ্যেই দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি অতুল এস চন্দুরকর-সহ মোট পাঁচ বিচারপতিদের নিয়ে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

