নয়া দিল্লি: গত মে মাস থেকে বিক্ষিপ্তভাবে মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই নিয়ে, সংসদের ভিতরে-বাইরে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। তবে, এর মধ্য়েই উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি রক্ষায় বড় সাফল্য পেয়েছে মোদী সরকার। মণিপুরের সবথেকে পুরোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউএনএলএফ-এর (UNLF) সঙ্গে সম্প্রতি ত্রিপাক্ষিক শান্তি চুক্তি করেছে কেন্দ্র ও মণিপুরের সরকার। আর এবার পরিসংখ্যান বলছে, মোদী সরকারের শাসনে গত নয় বছরে, উত্তর-পূর্ব ভারতে হিংসার মাত্রা ব্যাপকভাবে কমেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে, উত্তর-পূর্ব ভারতে মোট ১১,১২১ টি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু পরের ৯ বছরে, অর্থাৎ, ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে তা ৭৩ শতাংশ কমে মাত্র ৩,০৩৩-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ৪৫৮ জন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। পরের নয় বছরে নিরাপত্তা কর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা ৭২ শতাংশ কমেছে। ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে যেখানে এই অঞ্চলে ২,৬২৫ জন অসামরিক ব্যক্তি হিংসার শিকার হয়েছিলেন, সেখানে গত নয় বছরে অসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমে ৩৫৬-এ দাঁড়িয়েছে। আর এর পিছনে রয়েছে মোদী সরকারের লাগাতার প্রয়াস। গত নয় বছরে, উত্তর-পূর্বে সুরক্ষার পিছনে ২,৮৭৮ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের পর ত্তর-পূর্বে অন্তত ৮,০০০ বিদ্রোহী আত্মসমর্পণ করেছে। এই সময়ের মধ্যে আচিক জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পরিষদ চুক্তি, ব্রু অ্যাকর্ড, বোড়ো অ্যাকর্ড, কার্বি অ্যাকর্ড, অসম-মেঘালয় আন্তঃরাজ্য সীমান্ত চুক্তির মতো, মোট নয়টি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। এর পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন, বা অফস্পা-ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক জায়গা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অসমের ৭০ শতাংশেরও বেশি এলাকায় এখন আফস্পা নেই। এছাড়া, মণিপুরের সাতটি জেলার ১৯টি থানা এলাকা, নাগাল্যান্ডের আটটি জেলার ১৮টি থানা এলাকা এবং ত্রিপুরা ও মেঘালয় থেকে আফস্পা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে আফস্পা আছে শুধুমাত্র তিনটি জেলায় এবং অন্য একটি জেলার তিনটি থানা এলাকায়।