Srinagar Grenade attack: রক্তাক্ত শ্রীনগর, ‘রবিবারের বাজারে’ গ্রেনেড হামলা, আতঙ্কে ভূস্বর্গ!
Srinagar Grenade attack: প্রতি রবিবার বিকেলে টিআরসি থেকে লাল চক পর্যন্ত, রেসিডেন্সি রোডে একটি বড় বাজার বসে। সেই বাজারের মধ্যেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। গ্রেনেডটি নিশানাভ্রস্ট হয়ে বাজারের এক ফেরিওয়ালার গাড়িতে আঘাত করে।
শ্রীনগর: শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা। রবিবার (৩ নভেম্বর), বিকেলে শ্রীনগরের ট্যুরিস্ট রিসেপশন সেন্টার বা টিআরসি-র কাছেই এক জনাকীর্ণ এলাকায় হয় এই হামলা। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতি রবিবার বিকেলে টিআরসি থেকে লাল চক পর্যন্ত, রেসিডেন্সি রোডে একটি বড় বাজার বসে। সেই বাজারের মধ্যেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। গ্রেনেডটি নিশানাভ্রস্ট হয়ে বাজারের এক ফেরিওয়ালার গাড়িতে আঘাত করে। আহতদের অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত এক বছরের মধ্যে শ্রীনগরে এই প্রথম গ্রেনেড বিস্ফোরণ হল।
আহতদের চিকিৎসার জন্য শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের সুপার, ডা. তাসনিম শওকত বলেছেন, “আহতদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং দুইজন মহিলা। সবার অবস্থাই এখনও পর্যন্ত স্থিতিশীল।” রবিবারের ব্যস্ত বাজারে গ্রেনেড হামলা হওয়ার ফলে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লোকজন পাগলের মতো ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিল। সকলেই লুকোনোর জন্য আড়াল খুঁজছিল।
এদিকে, হামলার পরপরই হামলাকারীদের ধরতে এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথ দল। হামলাকারীদের ধরতে ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। শনিবারই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী দুটি অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছিল যৌথ বাহিনী – একটি শ্রীনগরের খানিয়ারে এবং আরেকটি অনন্তনাগের হালকান গালিতে। শ্রীনগরে উসমান নামে লস্কর-ই-তৈবার এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারকে নির্মূল করেছে বাহিনী। অন্যদিকে, অনন্তনাগেও নিহত হয় দুই সন্ত্রাসবাদী। তার ঠিক একদিন পরই এই গ্রেনেড হামলা হল।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “শ্রীনগরের ‘রবিবার বাজারে’র নিরীহ ক্রেতাদের উপর গ্রেনেড হামলার খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক। নিরীহ নাগরিকদের নিশানা করার কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। সুরক্ষা বাহিনীকে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব আক্রমণের এই স্ফুর্তি বন্ধ করতে হবে। যাতে, মানুষ কোনও ভয় ছাড়াই জীবনযাপন করতে পারে।”