Iran-Israel War: ইরান যদি আরও তেড়েফুঁড়ে ইজরায়েলে হামলা চালায়, তা হলে আর রাখঢাক না করে কড়া জবাব...

Iran-Israel War: ইরান যদি আরও তেড়েফুঁড়ে ইজরায়েলে হামলা চালায়, তা হলে আর রাখঢাক না করে কড়া জবাব…

আসাদ মল্লিক

|

Updated on: Nov 01, 2024 | 10:30 PM

War Breaking: হামলা চলাকালীন ইজরায়েল নিজেদের সীমান্তে অ্যাকটিভেট করে রাখে ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ডেভিড, অ্যারো ওয়ান ও টু এবং অবশ্যই আয়রন ডোম। এখন ইরান যদি আরও তেড়েফুঁড়ে ইজরায়েলে হামলা চালায়, তা হলে কিন্তু আর রাখঢাক না করে কড়া জবাব দেবে ইজরায়েল। দু-পক্ষের মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। পশ্চিম এশিয়ার মাটিতে শুরু হয়ে যে যুদ্ধ ছড়িতে পড়তে পরে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে।

ছোট, ছোট এলাকায় অনেক, অনেক যুদ্ধ। এই ছোট ছোট যুদ্ধ থেকেই যদি বড়সড় একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়? যেমন পশ্চিম এশিয়ায় হচ্ছে। ইজরায়েল বলছে, খামেনেইয়ের নির্দেশে তাদের দেশে হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইরান। আর এইবার বেশ লম্বা সময় ধরে, আরও বিধ্বংসী হামলার চেষ্টা হতে পারে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলে দিচ্ছেন, তেমন কিছু হলে তার একটাই পরিণতি – পুরোদস্তুর পাল্টা হামলা। মানে যুদ্ধ। পাশাপাশি ইরানের হামলা রুখতে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে আইডিএফ। আসলে সম্প্রতি ইরানে আইডিএফ যে হামলা চালায়, তাতে খুব একটা কম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইরান স্বীকার না করলেও উপগ্রহ চিত্রে দুটো জিনিস স্পষ্ট। এক, সেদেশের দুটি বড় অস্ত্রঘাঁটি ও সেনাঘাঁটিকে টার্গেট করেছিল ইজরায়েলি সেনা। দুই, ইরানের বন্দর, ওয়ারহাউস, প্রশাসনিক ভবনে মিসাইল হামলা হয়। আর তাই সেসব হজম না হওয়ায় পাল্টা মারের কথা ভাবছে তেহরান। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, আমেরিকায় ভোটপর্ব চলার মধ্যেই আমাদের শক্ররা হামলা করতে পারে। তিনি এই কথা বলার পরই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম উর্ধ্বমুখী। গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যারেলে এক ডলারেরও বেশি দাম বেড়ে গেছে। আগামী কয়েকদিনে দাম আরও বাড়ারই আশঙ্কা। তখন আমার-আপনার ওপর আরও চাপ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ অবশ্য এখনই ইরানের পাল্টা হামলার সম্ভাবনা দেখছেন না। তাঁদের মতে, আইডিএফের হামলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেঙেচুরে গিয়েছে। রাশিয়ার তৈরি এস-থ্রি হান্ড্রেড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কোনও কাজেই আসেনি। তাঁরা বলছেন, এক ঝাঁক এফ-থার্টি ফাইভ নিয়ে ইরানের অনেকটা ভিতরে ঢুকে পড়েন আইডিএফের ফাইটার পাইলটরা। বিমান থেকে ঘনঘন মিসাইল ফায়ার করেছেন তাঁরা।

ইরান একটা বিমান বা মিসাইলকেও লোকেট করতে পারেনি। এস-থ্রি হান্ড্রেড অকেজো প্রমাণিত হওয়ায় এখন ইরানের একমাত্র ভরসা জুবিন এয়ার ডিফেন্স। জুবিনকে বলা হয় ইজরায়েলি আয়রন ডোমের ইরানি ভার্সন। ইরান দাবি করেছিল, জুবিন ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ১০০টা টার্গেটকে লোকেট করে ধ্বংস করতে পারে। তবে যেখানে এস-থ্রি হানন্ড্রেডই মুখ থুবড়ে পড়ল, সেখানে জুবিন কতটা কী করতে পারে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ারের দাবি, পুরোদস্তুর যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়েই ইজরায়েলে হানা দিয়েছিল আইডিএফ। এফ-থার্টি ফাইভ বোমারু বিমান, মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরতে সিনির মতো রিফুয়েলিং বিমান, একাধিক শক্তিশালী মিসাইল – কোনও ফাঁক ছিল না। ব্যাকঅ্যাপ হিসাবে ছিল এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমানের দুটো ডিভিশন। তবে, ইরানের আকাশে আসল কাজটা করেছে ইজরায়েলের হেরন ড্রোন। হয় প্রিশিসন অ্যাটাক না হলে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সব টার্গেট। আর হামলা চলাকালীন ইজরায়েল নিজেদের সীমান্তে অ্যাকটিভেট করে রাখে ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ডেভিড, অ্যারো ওয়ান ও টু এবং অবশ্যই আয়রন ডোম। এখন ইরান যদি আরও তেড়েফুঁড়ে ইজরায়েলে হামলা চালায়, তা হলে কিন্তু আর রাখঢাক না করে কড়া জবাব দেবে ইজরায়েল। দু-পক্ষের মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। পশ্চিম এশিয়ার মাটিতে শুরু হয়ে যে যুদ্ধ ছড়িতে পড়তে পরে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে।