হিমালয়ে থাকলে গুলি চলবে, মরুভূমিতেও! সেনার হাতে এলেই সব ঠান্ডা
১৫ হাজার ফুট উচ্চতা। তাপমাত্রা মাইনাস কুড়ি ডিগ্রি। এইরকম উঁচু পাহাড়ি এলাকায় প্রবল ঠাণ্ডায়, বাতাসে কম অক্সিজেনের কারণে মানুষের টিকে থাকা কঠিন। এরকম প্রতিকূল পরিবেশে অনেক সময় বন্দুকও বিগড়ে যায়। তবে, এই কাতানা সিস্টেম কিন্তু বিগড়োবে না

বন্দুকের বদলে রকেট লঞ্চার, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, সবই থাকতে পারে। আর যাই থাকুক না কেন, ফায়ারিংয়ের জন্য কোনও মানুষের দরকার হবে না। সামনে শত্রু থাকলে গোলা-গুলি-মিসাইল সমস্ত আপনা থেকেই একদম নিখুঁত লক্ষ্যে ছুটবে। স্বয়ংক্রিয় এই ওয়েপন সিস্টেম তৈরি করেছে গ্রিডবট নামে আমেদাবাদের একটা ডিফেন্স স্টার্ট-আপ।
১৫ হাজার ফুট উচ্চতা। তাপমাত্রা মাইনাস কুড়ি ডিগ্রি। এইরকম উঁচু পাহাড়ি এলাকায় প্রবল ঠাণ্ডায়, বাতাসে কম অক্সিজেনের কারণে মানুষের টিকে থাকা কঠিন। এরকম প্রতিকূল পরিবেশে অনেক সময় বন্দুকও বিগড়ে যায়। তবে, এই কাতানা সিস্টেম কিন্তু বিগড়োবে না। অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন সে কাজ চালিয়ে যাবে। মানে ভেবে দেখুন কাতানা থাকলে পাক-চিন সীমান্তে আমরা কতটা নিরাপদ থাকব। কোথাও যদি সেনারা না থাকতে পারেন তাহলে সেখানে সীমান্তের দিকে তাক করে এমন কয়েকটা বন্দুক বসিয়ে দিলেই হল।
শুধু দিনের বেলা নয়। থার্মাল ক্যামেরা ও লেজার ডিসট্যান্স মিটারের সাহায্যে এই স্বংয়ক্রিয় ব্যবস্থায় রাতের অন্ধকারেও ফায়ার করা যায়। কাতানা একসঙ্গে ২০টা টার্গেটকে ট্র্যাক করতে পারে। যে কোনও একটা টার্গেট লক করার পর গুলি ছুড়তে সময় নেয় ১ সেকেন্ড। বুলস আই থেকে ম্যাক্সিমাম ৩০ সেন্টিমিটার এদিক-ওদিক হতে পারে। মানে, প্রিশিসনও খারাপ বলতে পারবেন না। এতে রয়েছে 60X অপটিক্যাল জুম ক্যামেরা। ১০ কিলোমিটার দূরের জিনিসকেও ফলে এর ট্র্যাক করতে অসুবিধে হয় না। টার্গেট ৪০০ মিটারের মধ্যে চলে এলে তখন কাতানা ফায়ার করতে পারে।
এই ওয়েপন সিস্টেমকে ড্রোনেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার মাটিতে থাকলে এ নিজে থেকেই শত্রুর ড্রোনকে গুলি করে নামাতে পারে। নিজের চারদিকে ঘুরতে পারে ৩৬০ ডিগ্রি। মানে পিছনে কেউ থাকলেও মুহূর্তে ঘুরে যাবে বন্দুকের নল। এতকিছু একসঙ্গে নিখুঁত করার জন্য কাতানা ওয়েপন স্টেশনে এআই ব্যবহার করেছে গ্রিডবট। শত্রুকে টার্গেট করা, তারপর কখন ফায়ার করতে হবে, সেসব ঠিক করে দেবে এআই।
গ্রিডবট টেকনলজিস সেনার কাছে তাদের এই নতুন প্রোডাক্টের ডেমনস্ট্রেশন দেয়। যতদূর খবর পাচ্ছি, পারফরম্যান্স দেখে সেনাকর্তারা সন্তুষ্ট। সব ঠিক থাকলে হয়ত অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা দেখতে পাব, পাক-চিনকে ঠাণ্ডা করতে সীমান্তে সেপাই ছাড়াই ছুটছে গুলি।





