আহমেদাবাদ: “যারা কখনও ভগবান রামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনি, তারাই এখন রামায়ণের রাবণকে নিয়ে টানাটানি করছে।” তাঁকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করার, কড়া জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর), গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার কালোলে এক নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে যে কে তাঁর সম্পর্কে সবথেকে খারাপ কথা বলতে পারবে। তাঁকে অপমান করে, কংগ্রেস আসলে আপামর গুজরাটিদের অপমান করছে বলেও দাবি করেন মোদী। উল্লেখ্য এর আগে রাক্ষসরাজ রাবণের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদীরও ১০০টি মস্তক আছে কি না, প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
গত সোমবার আহমেদাবাদের বেহরামপুরায় এক জনসভা করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে সাধারণ নির্বাচন, সব নির্বাচনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচার করার সমালোচনা করেন তিনি। খাড়্গে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর কি রাবণের মতো ১০০টি মস্তক রয়েছে যে, তাঁকে সব নির্বাচনে মুখ করছে বিজেপি? পুর নির্বাচনে বিজেপি মোদীর নামে ভোট চায়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কি পুরসভার কাজ করা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্ররা একযোগে সেই মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। এদিন, প্রধানমন্ত্রী মোদীও নিজেই খাড়্গের ওই মন্তব্যের নিন্দা করলেন।
তবে প্রধানমন্ত্রীর মতে, মল্লিকার্জুন খাড়্গে যা বলেছেন, তা তাঁর নিজের কথা নয়। খাড়্গেকে তিনি চেনেন এবং সম্মান করেন জানিয়ে, গান্ধী পরিবারের নাম না করে মোদী দাবি করেন, গান্ধীরাই খাড়্গেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কংগ্রেসর সভাপতির বক্তব্য আসলে গান্ধীদের শেখানো বুলি, বলে দাবি করেন তিনি। মোদী বলেন, “ওরা তাঁকে বলেছিল গুজরাটে এসে মোদীকে ১০০ মস্তকের রাবণ বলতে।” এই কুকথা বলার পরও কংগ্রেস দল বা দলের কোনও নেতা ক্ষমা না চাওয়ায় কিংবা একটুও অনুতপ্ত না হওয়ায় তিনি বিস্মিত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উত্তেজনার বশে কেউ কিছু বলে ফেলতেই পারেন, কিন্তু পরে তো ক্ষমা চাওয়া যায়। কংগ্রেস মনে করে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করাটা তাদের অধিকার।”