Gun License: বন্দুকের লাইসেন্স কারা পান, কীভাবে পাওয়া যায়? এই তথ্যগুলো জেনে নিন…
Gun License Rule: লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও এই শর্তগুলো অবশ্যই মানতে হবে। সেগুলি বিচার করে তবেই লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। অনেকেই হয়তো জানেন, আবার সকলেই যে জানেন তা নয়। এই বিষয়গুলো জেনে রাখতেও পারেন।

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। বলিউড তারকা সলমন খানকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মুম্বই পুলিশের তরফে সলমন খানকে বন্দুক রাখার লাইসেন্সও দিয়েছে। সকলেই যেন বন্দুকের লাইসেন্স পান, তা একে বারেই নয়। এর জন্য নানা শর্ত রয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও এই শর্তগুলো অবশ্যই মানতে হবে। সেগুলি বিচার করে তবেই লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। অনেকেই হয়তো জানেন, আবার সকলেই যে জানেন তা নয়। এই বিষয়গুলো জেনে রাখতেও পারেন।
- দেশের ভিন্ন রাজ্যে বন্দুকের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়মও রয়েছে। কোথাও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ডিএম, ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, কমিশনার কিংবা সেই ব়্যাঙ্কের কোনও পদাধিকারী। থানা কিংবা প্রশাসন শুধমাত্র লাইসেন্স ইস্যু করতে পারে। কিন্তু প্রক্রিয়া আলাদা। উদাহরণ হিসেবে বলা ধরা যাক, কোনও রাজ্যে বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে ডিসিপি (লাইসেন্সিং) অফিসে। আবার কোথাও এসডিএম অফিসে।
- আবেদন করার পর সেটি এসপি অফিসে ভেরিভিকেশন হলে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কাছে রিপোর্ট আসবে। এর উপর নির্ভর করবে, লাইসেন্স ইস্যু করা হবে কি না।
- আবেদন করার জন্য চার্জও বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা। সেটা ১০ থেকে ৩০০ টাকও হতে পারে। কী ধরনের বন্দুক তার উপরও নির্ভর করে। হ্যান্ডগান (পিস্তল, রিভলবার) কিংবা রাইফেলের লাইসেন্সের জন্য ১০০ টাকার মতো লাগতে পারে অ্যাপ্লিকেশন ফি হিসেবে।
- আবেদন পত্রের সঙ্গে নানা ডকুমেন্টও দিতে হয়। পরিচয় পত্র, ঠিকানার প্রমাণ, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, বয়সের প্রমাণপত্র, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট, সম্পত্তির তথ্য জমা দিতে হয়।
- আগে বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হত ৩ বছরের জন্য। পরবর্তীতে সেটা বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। এরপর লাইসেন্স নবীকরণ করাতে হয়।
কারা পেতে পারেন এই লাইসেন্স? ১৯৫৯ সালের আর্ম অ্যাক্ট অনুযায়ী, বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয় আত্মরক্ষার জন্য। প্রথমত আবেদনকারীকে ২১ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে। তাঁকে অবশ্যই এ দেশের নাগরিক হতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের পুলিশ রেকর্ড থাকলে হবে না। এ ছাড়াও তাঁকে মানসিক এবং শারীরীক ভাবে সুস্থ হতে হবে। আবেদনের সঙ্গে জানাতে হবে, কেন তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।
কারা লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অযোগ্য? অনেক ক্ষেত্রেই বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২১ বছরের নীচে হলে লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য। জেলখাটা কোনও আসামী, মানিসক ভারসাম্যহীন কিংবা এমন কোনও ব্যক্তি যিনি স্পর্শকাতর এলাকায় থাকেন।
লাইসেন্স পাওয়ার পর সেই অস্ত্রও কিনতে হবে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কেনার পর সেটির সমস্ত তথ্য লোকাল থানায় দিতে হবে। নিয়মিত ভাবেই সেই অস্ত্র সম্পর্কে পুলিশকে জানাতে হবে।
