Purbo Burdwan: শীতের রাতে আওয়াজটা একটু জোরেই হয়, আর তাতেই ঘুম ভাঙে পড়শির… বেরিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহেই যে দৃশ্য দেখলেন…
Purbo Burdwan Theft: মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেই সিসিটিভি ক্যামেরায় মুখ ঢাকা অবস্থায় তিন দুষ্কৃতীকে দেখা যাচ্ছে। রাতে পুলিশের নজরদারি সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তাঁরা। ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

পূর্ব বর্ধমান: একেবারে দেবীর মন্দিরে ঢুকে লুঠপাটের অভিযোগ। আওয়াজ পেয়ে তাড়া করলেন গ্রামবাসীদের। তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেলেও খোওয়া গেছে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা। গোটাটাই ধরা পড়েছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার চোখে। ৪টি মন্দিরে ৮টি প্রণামী বাক্স ভেঙে সর্বস্ব লুটপাটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের তকিপুর গ্রামে। এই মন্দির গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বিখ্যাত। দুঃসাহসিক চুরিকাণ্ডে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক বারোটা চল্লিশ নাগাদ তকিপুরের ঐতিহ্যবাহী বড়মা মন্দির, পাশেই ছোটমা মন্দির ও বড়মার মন্দির সংলগ্ন দুটি শিব মন্দিরের সমস্ত প্রণামী বাক্স ভেঙে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। বড় কালীমার মন্দিরের সেবাইত দেবাশিস সরকার, মধুমিতা সরকার, অশোক সরকাররা। তাঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত বারোটা চল্লিশ নাগাদ তিনজন দুষ্কৃতী মুখঢাকা অবস্থায় মন্দিরে ঢুকে একের পর এক প্রণামী বাক্স ভেঙে লুঠপাট চালায়।
মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেই সিসিটিভি ক্যামেরায় মুখ ঢাকা অবস্থায় তিন দুষ্কৃতীকে দেখা যাচ্ছে। রাতে পুলিশের নজরদারি সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তাঁরা। ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা অসিত সরকার বলেন, “রাত প্রায় বারোটা চল্লিশ নাগাদ মন্দির থেকে আওয়াজ শুনতে পাই। মন্দিরের চুরির আশঙ্কা করে প্রতিবেশীদের জানানো হলে মন্দিরের কাছে তিনজন দুষ্কৃতীকে দেখতে পাওয়া যায়। দুটি কালী মন্দির ও দুটি শিব মন্দিরে একের পর এক প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা পয়সা চুরি করছে।”
তবে আওয়াজ শুনতে পেয়ে এলাকাবাসীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেই দুষ্কৃতীরা ছুটে পালায়। কিছুদূর পিছন ধাওয়া করা হলেও তাদেরকে ধরা যায়নি। দুষ্কৃতীদের হাতে শাবল-সহ একাধিক সরঞ্জাম ছিল। পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। আউশগ্রাম থানা ও গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তাঁরা। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অনুমান, প্রায় পঁচিশ হাজার টাকার জিনিস নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা।
