Suicide: বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘর ভাসছে রক্তে, মেঝেতে পড়ে অধ্যাপক ও তাঁর মেয়ের গলাকাটা দেহ!

Crime News: বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও, বাইরে স্কুটার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকাডাকি করে দরজা খোলান। অধ্যাপক যে ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন, তার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, রক্তে ভাসছে ঘর। তার মধ্যে দুইজনের দেহ পড়ে রয়েছে। 

Suicide: বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘর ভাসছে রক্তে, মেঝেতে পড়ে অধ্যাপক ও তাঁর মেয়ের গলাকাটা দেহ!
তদন্ত করছে পুলিশ।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2024 | 8:43 AM

হিসার: স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরতে বেরচ্ছেন। কিছুক্ষণেই চলে আসবেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক কেটে গেলেও স্বামী-মেয়ে কেউই বাড়ি না ফিরতে নিজেই বেরিয়েছিলেন খুঁজতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ডিপার্টমেন্টে কর্মরত, সেখানে গিয়েও খোঁজাখুঁজি করেন। ডিপার্টমেন্টের দরজা খুলতেই যা দেখলেন, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না মহিলা। দেখতে পেলেন, ঘরে রক্তগঙ্গা বইছে। তার মাঝে পড়ে রয়েছে স্বামী ও একমাত্র কন্যার নিথর দেহ। দুজনেরই গলার নলি কাটা!

রবিবার হরিয়ানার হিসারে অবস্থিত লালা লাজপত রাই ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্স থেকে এক অধ্যাপক ও তাঁর ৮ বছরের মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অধ্যাপক নিজেই তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছেন। তারপর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।

সন্দীপ গয়াল নামক ওই অধ্যাপক রবিবার বিকেলে স্কুটার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়ে। স্ত্রীকে বলেছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায়, স্ত্রী খুঁজতে বের হন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও, বাইরে স্কুটার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকাডাকি করে দরজা খোলান। অধ্যাপক যে ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন, তার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, রক্তে ভাসছে ঘর। তার মধ্যে দুইজনের দেহ পড়ে রয়েছে।

পুলিশের অনুমান, অধ্যাপক প্রথমে সার্জিকাল ব্লেড দিয়ে নিজের মেয়ের গলা কেটে দেন। এরপরে নিজেও ওই ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। অধ্যাপকের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন সন্দীপ। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন অধ্যাপক।