Indian Oil: হাইটেক CCTV দিয়ে নজরদারি! ১০০ মিটারের টানেল খুঁড়ে দেদার তেল চুরি, মাথায় হাত ইন্ডিয়ান ওয়েলের
Indian Oil: প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তেল পাচারকারীরা পাইপ লাইন থেকে বেশ খানিকটা দূরে বসে মোবাইল থেকে উন্নতমানের সিসিটিভি ক্যামেরা চালাচ্ছিল। এরইমধ্যে তেল সরবরাহে ঘাটতি বাড়তেই চিন্তা বাড়তে থাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের।
শাহজাহানপুর: একেবারে যেন সিনেমা। চোরেরাই বসাল সিসিটিভি। যে সে সিসিটিভি নয়! একেবারে হাইটেক ক্যামেরা। পুলিশ নয়, তা দিয়ে এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল চোরের দল। কে আসছে, কখন আসছে, সবটাই নখদর্পণে। প্রথমে রেকি, তারপর পরিকল্পনা, তারপর বাস্তবায়ন! অভিনব প্রযুক্তিতে অপরিশোধিত তেল চুরির ঘটনা রাজস্থানে। শাহজাহানপুর টোল প্লাজার কাছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের অপরিশোধিত তেল লাইন থেকে ভালভ বসিয়ে দেদার চুরি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়ে গিয়েছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের কর্তাদের। মামলা দায়ের হতেই শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল রহস্যের পর্দাফাঁস।
সূত্রের খবর, একটি ১০০ মিটার দীর্ঘ, ৮ ফুট গভীর এবং ৪ ফুট চওড়া টানেল খনন করা হয়েছিল চুরির জন্য। সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সবটা পাকাও করা হয়েছিল। তারপরই শুরু অপারেশন। বৈদ্যুতিক ফিটিংস ও সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ লাইন পর্যন্ত ভালভ বসিয়ে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল চুরি চলে দিনে পর দিন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তেল পাচারকারীরা পাইপ লাইন থেকে বেশ খানিকটা দূরে বসে মোবাইল থেকে উন্নতমানের সিসিটিভি ক্যামেরা চালাচ্ছিল। এরইমধ্যে তেল সরবরাহে ঘাটতি বাড়তেই চিন্তা বাড়তে থাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের। চাপানউতোরের মধ্যে ৬ জানুয়ারি একটি মামলাও হয়ে যায়। তদন্তে নামে স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। কোটপুটলি-বেহরোর জেলায় রয়েছে এই শাহজাহানপুর টোল প্লাজা। সমস্যা যে ওই এলাকাতেই হচ্ছে তা আগেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। তদন্ত শুরু হতেই একেবারে চোখ কপালে উঠে যায় তদন্তকারীদের। উঠে আসে এই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই খবরটিও পড়ুন
শুধু হাইটেক সিসিটিভি দিয়ে নজরদারি নয়, পুলিশ জানতে পারে পাশে একটা খামার ভাড়ায় নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকেই চলছিল আসল অপারেশন। ওই জায়গা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে আরও একটি গুদামেরও খোঁজ পায় পুলিশ। দেখা যায় মোট ২টি জায়গায় ভালভ বসিয়ে চলেছে দেদার তেল চুরি।