Mahua Moitra: সূর্যাস্তের পর মহিলা সাংসদদের কীভাবে আটকে রাখা হল? বিতর্ক উসকে প্রশ্ন মহুয়ার
Mahua Moitra: এদিন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়ান, শান্তনু সেনদের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ আটক করে মহুয়া মৈত্র, দোলা সেনদের মতো মহিলা সাংসদ ও তৃণমূল নেত্রীদেরও। বিশেষ করে মহুয়া মৈত্রকে একেবারে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশের মহিলা কর্মীদের। সূর্যাস্তের পর মহিলাদের আটক করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মৈত্র।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার রাতে নয়া দিল্লির কৃষি ভবন থেকে আটক করা হয়েছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের ঘণ্টা তিনেক বসিয়ে রেখেও দেখা করেননি মন্ত্রী। বরং, পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। এরপরই কৃষি ভবনে ধরনারত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের আটক করে কিংসওয়ের পুলিশ লাইনে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। কিছুক্ষণ পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, যেভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশ। বিশেষ করে মহিলাদের যেভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সূর্যাস্তের পর মহিলাদের আটক করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মহুয়া মৈত্র।
এদিন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়ান, শান্তনু সেনদের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ আটক করে মহুয়া মৈত্র, দোলা সেনদের মতো মহিলা সাংসদ ও তৃণমূল নেত্রীদেরও। বিশেষ করে মহুয়া মৈত্রকে একেবারে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশের মহিলা কর্মীদের। সেই সময় তৃণমূলের মহিলা সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “কোনও সাংসদের সঙ্গে আপনারা এটা কীভাবে করতে পারেন?” পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমরা সবাই এখন কুইন্সওয়ে ক্যাম্পে আটক হয়ে আছি। পুলিশ লাইনে সূর্যাস্তের পর মহিলা সাংসদদের আটক করে রাখা হয়েছে। কোনও নথিপত্রও নেই।”
ভারতীয় দণ্ডবিধিতে সূর্যাস্তের পর মহিলাদের আটক করা নিয়ে আলাদা কোনও নিয়ম না থাকলেও, মহিলাদের গ্রেফতার করা যায় না। ফৌজদারি বিধির ৪৬-এর ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, অত্যন্ত ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া, কোনও মহিলাকে সূর্যাস্তের পরে এবং সূর্যোদয়ের আগে গ্রেফতার করা যাবে না। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেও মহিলা পুলিশ অফিসারকে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। মহিলা অফিসার ছাড়া কোনও মহিলাকে গ্রেফতার করা যাবে না। যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার দেহ স্পর্শ করার বিষয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যদি গ্রেফতার প্রতিরোধের চেষ্টচা করা হয়, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসাররা প্রয়োজনীয় সমস্ত উপায় ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রেফতার করার চব্বিশ ঘন্টার বেশি নথিপত্র ছাড়া পুলিশ হেফাজতে আটকে রাখা যায় না।
We are all being detained at Queensway Camp now. Lady MPs being held after sunset in a police line . No paperwork.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) October 3, 2023
আটক তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলন করে, মহিলা সাংসদ ও নেত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া নিয়ে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “আমাদের মহিলাদেরও ছাড়া হয়নি। টেনে-হিঁচড়ে আমাদের যেভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে, ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের ইতিহাসে আজকের দিন কালিমালিপ্ত হয়ে থাকল। জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা বীরবাহা হাঁসদাকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দোলা সেনকে ১৪-১৫ জন পুলিশ অফিসার মিলে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একাধিক পুরুষ পুলিশ অফিসারও ছিলেন। সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছবি কখনও মিথ্যা কথা বলে না। এর জবাব আগামীদিনে বাংলার মানুষ দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”