Maynaguri Rail Accident: হাসপাতালে শুয়েই জানিয়েছিলেন বাড়ির কথা, অসমের বাসিন্দাকে পরিবারের খোঁজ দিলেন খোদ রেলমন্ত্রীই!
Rail Minister Helped Man to Find his Family: বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে করেই বাড়ি ফিরছিলেন শফিকুল আলি। তাঁর বাড়ি অসমের দারাং জেলার ধুলায়। শফিকুল যে কামরায় ছিল, সেটিও লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল।
গুয়াহাটি: উল্টে পড়ে রয়েছে একের পর এক বগি, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছেঁড়া জামাকাপড়, ব্য়াগপত্র। ট্রেনের বাইরেও একাধিক জায়গায় রক্তের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত(Bikaner-Guwahati Express Accident) হওয়ার পর এই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। বীভৎসতা একইরকমের না হলেও, কিছুটা গাইশাল বা জ্ঞানেশ্বরীর দুর্ঘটনার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে ময়নাগুড়ির এই ট্রেন দুর্ঘটনা। তবে অনেক খারাপের মাঝেও যেমন ভাল কিছুর খোঁজ পাওয়া যায়, তেমনভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়েই অসমের (Assam) পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেন এক ব্যক্তি। তাঁর পরিবার খুঁজে দিতে সাহায্য করলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব(Ashwini Vaishnaw)-ই।
ঠিক কী ঘটেছিল?
বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে করেই বাড়ি ফিরছিলেন শফিকুল আলি। তাঁর বাড়ি অসমের দারাং জেলার ধুলায়। কিন্তুু মাঝপথেই ময়নাগুড়ির কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ট্রেনটি, লাইনচ্যুত হয়ে যায় ১২টি কামরা। শফিকুল যে কামরায় ছিল, সেটিও লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল।
বাঁচার আশা যখন ছেড়েই দিয়েছিলেন, সেই সময়ই এগিয়ে এসেছিল কয়েকটি হাত। তারাই ট্রেনের ভিতর থেকে টেনে ছিঁচড়ে বের করেন শফিকুলকে। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন জানতে পারেন জলপাইগুড়ির একটি সুপার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখানেই গতকাল আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব।
উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শফিকুলের স্বাস্থ্য়ের সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়েই রেলমন্ত্রী জানতে পারেন তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না কারণ তাদের কারোর কাছেই ফোন নেই। কোনওমতে এক প্রতিবেশীর ফোন নম্বর বলতে পারেন শফিকুল। সঙ্গে সঙ্গে সেই নম্বরে ফোন করতে বলেন রেলমন্ত্রী।
কীভাবে খোঁজ মিলল শফিকুলের পরিবারের?
ওই প্রতিবেশী ফোন ধরলেও, শফিকুলের পরিবারের কাউকেই বাড়িতে খুঁজে পাননি। রেলমন্ত্রীর নির্দেশে যে পোস্টম্যান পাঠানো হয়েছিল, তিনিও শফিকুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। একের পর এক চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরই গ্রামবাসীরা স্থানীয় মসজিদে যে লাউডস্পিকার নমাজের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাতে শফিকুলের নাম ঘোষণা করে তাঁর পরিবারকে যোগাযোগ করতে বলা হয়।