লখনউ: দুর্ঘটনায় শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে স্বামীর। উঠতে-চলতে পারেন না আর। স্ত্রীই পরিচর্যা করতেন তাঁর। সংসার চালানোর জন্য উপার্জনের দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে। স্ত্রীর এমন ভালবাসায় আপ্লুত ছিলেন স্বামী। কিন্তু মনে মনে যে এমন ফন্দি আঁটছে স্ত্রী, তা কল্পনাও করতে পারেননি। বন্ধ ঘর থেকে বিশেষভাবে সক্ষম যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হতেই পুলিশ গ্রেফতার করল স্ত্রীকে।
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের কানপুরে। আবিদ নামক এক যুবককে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, একটি দুর্ঘটনায় আবিদের মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়, শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে। তাঁর স্ত্রীই দেখভাল করত। তবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না পারায়, মনে ক্ষোভ ছিল শাবানার।
এদিকে ইন্সটাগ্রামে রেহান নামক এক অটোচালকের সঙ্গে পরিচয় হয় শাবানা নামক ওই যুবতীর। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাড়াচ্ছিল শাবানার স্বামী আবিদ। এই কাঁটা সরাতেই প্রেমিক রেহানের সঙ্গে আবিদকে খুনের পরিকল্পনা করে শাবানা। রেহানের এক বন্ধুকেও পরিকল্পনায় সামিল করানো হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাবানা তাঁর স্বামী আবিদকে মদ্যপান করায় জোর করে। আবিদ ঘুমিয়ে পড়লে রেহান ও তাঁর বন্ধুকে ঘরে ডাকে। এরপর শাবানা আবিদের বুকের উপরে চেপে বসে। রেহান দুই হাত চেপে পড়ে। তাদের বন্ধু অভিযুক্ত অপর যুবক শ্বাসরোধ করে আবিদকে হত্যা করে।
খুনের পর আবার দেহটি ঘুমানোর মতো করে সাজিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরদিন সকাল হতেই শাবানা কান্নাকাটি জোড়ে। পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে এলে যুবতী জানায়, ঘুমের মধ্যেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও প্রাথমিকভাবে ভেবেছিল, অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্যই আবিদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু ময়নাতদন্তে ধস্তাধস্তি ও শ্বাসরোধ করে খুনের প্রমাণ মিলতেই তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশি জেরায় ওই যুবতী সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে এবং গোটা ঘটনায় তাঁকে মদতদাতা দুইজনের নামও বলে দেয়।