গুরুগ্রাম: মাস কয়েক হল নতুন জীবনে পথা চলা শুরু করেছিলেন তাঁরা। একসঙ্গে সে দিন চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন। সারাদিন ঘোরার পরিকল্পনা ছিল সে দিন। কিন্তু পরিণতি যে এমন হবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি নিকট আত্মীয়রা। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই মৃত্যু দম্পতির। বিয়ের বয়স হয়েছিল মাত্র তিন মাস। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা। মাত্র ২৫ বছর বয়সী অভিষেক আলুওয়ালিয়ার মৃত্যু হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। আর সেই খবর শুনে সহ্য করতে পারেননি স্ত্রী অঞ্জলি। সোজা ছুটে যান সাত তলার ব্যালকনিতে। সেখান থেকে ঝাঁপ দেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অঞ্জলিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিয়ে হয় অভিষেক ও অঞ্জলির। গত সোমবার দিল্লির চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করেন অভিষেক। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করেন অঞ্জলি। প্রথমে অভিষেককে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে। সেখানে থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সফদরজং হাসপাতালে।
কয়েক ঘণ্টা পরই অভিষেককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। রাত ৯টা নাগাদ গাজিয়াবাদের বৈশালীতে ওই দম্পতির অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছয় অভিষেকের দেহ। তারপরই ওই বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন অঞ্জলি। দ্রুত তাঁকে বৈশালীর ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
তাঁদের এক আত্মীয়া জানিয়েছেন, অভিষেকের দেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর খুব কাঁদছিলেন অঞ্জলি। এরপর তাঁকে ছুটে যেতে দেখা যায় ব্যালকনির দিকে। আত্মীয়রা ছুটে গেলেও থামাতে পারেননি অঞ্জলিকে। তবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে কীভাবে হার্ট অ্যাটাক হল অভিষেকের, তা বুঝতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সবরকমভাবে চেষ্টা করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই যুবককে। গত দু-এক বছরে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে, যেখানে হৃদরোগের শিকার হচ্ছে ৩০ বা তারও কম বয়সী যুবক-যুবতীরা। চিকিৎসকেরাও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।