Ratan Tata: আশা করি একটা খারাপ এম এবং একটা ভাল এম রয়েছে: রতন টাটা
Ratan Tata: সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হওয়ার পর রতন টাটা বলেছিলেন, "কপালে বন্দুক ঠেকালেও সিঙ্গুর ছেড়ে যাব না।" কিন্তু, ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর তিনি ঘোষণা করেন, বাংলা থেকে ন্যানো কারখানা যাচ্ছে গুজরাটের সানন্দে। আর সেইসময় বলেছিলেন, "ট্রিগারটাই তো টিপে দিলেন।"
আহমেদাবাদ: পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর থেকে গুজরাটের সানন্দে ন্যানো কারখানা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তখন নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। তারপরই রতন টাটা বলেছিলেন, “আশা করি, একটা খারাপ এম এবং একটা ভাল এম রয়েছে।”
২০০৬ সালে হুগলি সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় টাটা গোষ্ঠী। ২০০৬ সালে নির্বাচনে জিতে যেদিন বুদ্ধদেন ভট্টাচার্য ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন, সেদিনই সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানার কথা ঘোষণা করলেন রতন টাটা। জানিয়ে দিলেন, ন্যানো কারখানায় এক লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি তৈরি করা হবে। মধ্যবিত্তের গাড়ি চড়ার স্বপ্ন পূরণ করতেই এই পদক্ষেপ।
এরপর সিঙ্গুরে শুরু হল জমি অধিগ্রহণ। প্রথম থেকেই বাধার মুখে পড়ল রাজ্য। জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামলেন অনিচ্ছুক কৃষকরা। আন্দোলনে সামিল হল তৃণমূল। আড়াই বছর ধরে চলল টানাপোড়েন। সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হওয়ার পর রতন টাটা বলেছিলেন, “কপালে বন্দুক ঠেকালেও সিঙ্গুর ছেড়ে যাব না।” কিন্তু, ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর তিনি ঘোষণা করেন, বাংলা থেকে ন্যানো কারখানা যাচ্ছে গুজরাটের সানন্দে। আর সেইসময় বলেছিলেন, “ট্রিগারটাই তো টিপে দিলেন।” দিন চারেক পর টাটা গোষ্ঠী জানিয়ে দেয়, গুজরাটের সানন্দে হবে ন্যানোর কারখানা।
গুজরাটের সানন্দে ন্যানো কারখানা নিয়ে আহমেদাবাদে সাংবাদিক বৈঠক করেন রতন টাটা। সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে রতন টাটা বলেছিলেন, “আশা করি একটা খারাপ এম রয়েছে, একটা ভাল এম রয়েছে। আমাদের এই স্থানান্তর প্রয়োজন।”