AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patient Died by Rat Bite: রক্তমাখা গোটা বিছানা, পা খুবলে খেয়ে নিল ইঁদুর! মৃত্যু আইসিইউ রোগীর

Patient Died by Rat Bite: ওই ব্যক্তির প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পাঁচদিন আগেই তাঁকে ওয়ারাঙ্গালের ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মাল্টি-অর্গান ফেলিওরের ওই রোগী প্রথম দিন থেকেই অচেতন ছিলেন।

Patient Died by Rat Bite: রক্তমাখা গোটা বিছানা, পা খুবলে খেয়ে নিল ইঁদুর! মৃত্যু আইসিইউ রোগীর
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2022 | 11:45 AM
Share

হায়দরাবাদ: অনেক হাসপাতালেই অভিযোগ ওঠে ইঁদুরের (Rat) দৌরাত্ব্যের। তাই বলে আইসিইউতে ভর্তি রোগীর মৃত্যু হবে ইঁদুরের কামড়ে? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই ঘটেছে তেলঙ্গনার (Telangana) ওয়ারাঙ্গাল জেলায়। সেখানের এমজিএম হাসপাতালে পাঁচ দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন এক রোগী। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(ICU)। সেখানেই হল বিপত্তি। চিকিৎসার গাফিলতি নয়, বরং ইঁদুরের কামড়ে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পাঁচদিন আগেই তাঁকে ওয়ারাঙ্গালের ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মাল্টি-অর্গান ফেলিওরের ওই রোগী প্রথম দিন থেকেই অচেতন ছিলেন। তাঁকে আর্টিফিসিয়াল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীর দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচারক পায়ের পাতা ও গোড়ালি থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। চিহ্ন দেখেই তিনি বুঝতে পারেন যে ইঁদুর কামড়েছে। রোগী পরিবার গোটা ঘটনা জানতে পারলেই শুরু হয় ঝামেলা। শেষ অবধি শুক্রবার ওই রোগীর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, গোটা হাসপাতাল জুড়েই ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে। আইসিইউতেও প্রচুর ইঁদুর ঘোরাফেরা করে। অসচেতন হলেই উধাও হয়ে যায় খাবার। অনেক কর্মচারী-রোগীরাও ইঁদুরের কামড় খেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতিই হাসপাতালের ড্রেনের লাইনের সংস্কার শুরু হয়।

এক পরিচারক জানান, আমরা আগেও একাধিকবার ইঁদুরের উপদ্রব নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই ব্যক্তির পা থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, গোটা বিছানা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সেই কারণেই অভিযোগ জানাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সাফাই কর্মীদের শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের সুপারিন্ডেন্ট ও দুই চিকিৎসককেও বদলি করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি হরিশ রাও গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছেন।