যোধপুর: সাপের নাম শুনলেই মানুষের মনে একটা ভয় ভয় ব্যাপার কাজ করে। তবে যদি বলা হয়, এই সাপের বিষ থেকেই আরও দ্রুত সারবে চোটের ক্ষত? অবিশ্বাস্য লাগছে? সম্প্রতি যোধপুর আইআইটির গবেষকরা এমনই দাবি করছেন। সাপের বিষ থেকে পাওয়া এক ধরনের পেপটাইড প্রাণীদেহের কোনও ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। সাপের বিষের মধ্যে থাকে এক ধরনের নভেল অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল পেপটাইড। সেই পেপটাইড থেকেই এই অবিশ্বাস্য সাফল্য সম্ভব বলে দাবি করা হচ্ছে গবেষণায়। এর পাশাপাশি মিউরিন মডেল পেপটাইডও কোনও সার্জারির পর ক্ষত থেকে ইনফেকশন ছড়ানোর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় বলে উঠে এসেছে যোধপুর আইআইটির গবেষণায়।
যোধপুর আইআইটির বায়োসায়েন্স ও বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সুরজিৎ ঘোষ জানাচ্ছেন, এটি এমন ভাবে বানানো হচ্ছে যাতে সাপের বিষের ক্ষতিকর সম্ভাবনাগুলিকে দূরে সরিয়ে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল মৌলগুলি বজায় রাখা যায়। সেই কারণে সাপের বিষের থেকে বিষাক্ত উপাদানগুলিকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
আইআইটি যোধপুরের এই গবেষণা মূলত দুটি সমস্যার সমাধানের টার্গেট নিয়ে করা হয়েছে। প্রথমটি হল, পেপটাইডের মেমব্রেনোলাইটিক ক্ষমতা এবং দ্বিতীয়টি হল যাতে পেপটাইডকে কোনও ডিসইনফেক্ট্যান্ট বা অয়েন্টমিন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যদিও গোটা বিষয়টি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
আইআইটি যোধপুরের অধ্যাপক সুরজিৎ ঘোষের সঙ্গে এই গবেষণার যুক্ত রয়েছেন সাম্য সেন, রামকমল সামত, মৌমিতা জশ, সত্যজিৎ ঘোষ, রাজশেখর রায়, নবনীতা মুখোপাধ্যায়, সুরজিৎ ঘোষ, জয়িতা সরকার সহ আরও অন্যান্য অধ্যাপকরা। সম্প্রতি জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে এই গবেষণার বিষয়ে প্রকাশিত হয়েছে। যোধপুর আইআইটির এই গবেষণায় আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে ভারতের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড, সাসটেনবেল এন্ট্রেপ্রিনিয়রশিপ অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ় ডেভেলপমেন্ট।