Bangladesh: প্রবেশ নিষেধ! ইউনূসের মন্তব্যের পর বাংলাদেশ নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির
India-Bangladesh Business: এই পণ্যগুলিকে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, বাংলার চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ির মতো শুল্ককেন্দ্র অথবা চেক পোস্ট দিয়েও প্রবেশ করানো যাবে না। তবে নেপাল কিংবা ভূটান পণ্যে রফতানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অসুবিধায় পড়তে হবে না তাদের।

নয়াদিল্লি: চোখের বদলে চোখ। ভারতের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করতে এলে পরিণাম ভুগতেই হবে, তা আবার স্পষ্ট করল নয়াদিল্লি। শনিবার, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর বা Directorate General of Foreign Trade তরফে একটি বিবৃতি মাধ্য়মে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ভারতে আমদানি করা যাবে না।
ডিজিএফটি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশি বেশ কিছু পণ্য যেমন রেডিমেড পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ভারতের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কলকাতা কিংবা মুম্বইয়ের মতো সমুদ্রবন্দর হয়ে প্রবেশের অধিকার রয়েছে। পাশাপাশি, ফল, তুলা, প্লাস্টিক, পিভিসি পণ্য ও কাঠের আসবাবপত্র-সহ অন্যান্য বেশ কিছু জিনিসপত্রে বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে।
বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এই ধরনের পণ্যগুলিকে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, বাংলার চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ির মতো শুল্ককেন্দ্র অথবা চেক পোস্ট দিয়েও প্রবেশ করানো যাবে না। তবে নেপাল কিংবা ভূটান পণ্যে রফতানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অসুবিধায় পড়তে হবে না বলেও সাফ জানিয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্যিক দফতর। প্রতিবছর এই সময়কালে ইলিশ পাঠায় বাংলাদেশ। নতুন নিয়মে কি চাপ পড়বে তাতে? কেন্দ্র জানিয়েছে, মাছ, এলপিজি গ্যাস ও ভোজ্যতেল এই তিন পণ্য়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
কিন্তু হঠাৎ করেই বা কেন এমন বিধিনিষেধ চাপাল নয়াদিল্লি? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, চিনে বসে ইউনূসের সেভেন সিস্টার নিয়ে করা মন্তব্যের পরিণাম ভুগছে বাংলাদেশ। গত মাসের মাঝামাঝি দিকে বাংলাদেশের জন্য চালু করা ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় ভারত। যার জেরে পেট্রাপোল হয়ে চলা ব্যবসায় বিরাট ধাক্কা পড়ে। এবার সেই ধাক্কার রেশ কাটার আগেই। আবার কাঁটা ফেলল নয়াদিল্লি।

