Rahul Gandhi: ‘২ খেলোয়াড় জেলে, আম্পায়ার বেছে নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করছেন মোদী’
Rahul Gandhi: রবিবার (৩১ মার্চ), নয়া দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের 'গণতন্ত্র বাঁচাও' সমাবেশে যোগ দেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে ক্রিকেট খেলার সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের তুলনা করেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে নিজেরাই আম্পায়ার বেছে নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করছে।

নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রবিবার (৩১ মার্চ), নয়া দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশে যোগ দেন তিনি। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে ক্রিকেট খেলার সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের তুলনা করেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে নিজেরাই আম্পায়ার বেছে নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এক কমিটি। যে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও লোকসভার সবথেকে বড় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছিলেন। এই নয়া নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ঘটনাকে কটাক্ষ করেই এই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলেন, ‘ক্রিকেটে, ম্যাচের ফল নিজেদে পছন্দসই করার জন্য আম্পায়ারকে চাপ দেওয়া হয়। একে ম্যাচ ফিক্সিং বলে। এবারের নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটছে। নরেন্দ্র মোদী ম্যাচ ‘ফিক্স’ করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ২জন খেলোয়াড়কে কারাগারের বন্দি করেছেন। নির্বাচনের ঠিক আগে, দেশের সবথেকে বড় বিরোধী দলের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এটা কী ধরণের নির্বাচন? আমাদের লড়াই সংবিধানকে রক্ষার জন্য। অখিলেশ বলেছেন, সংবিধানের পাশাপাশি গরীবদের অধিকারও খোয়া যাবে। গত ৪০ বছরের মধ্যে বৈষম্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই নির্বাচন সংবিধান রক্ষার লড়াই। তার সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্র, আদিবাসী, কৃষকদের অধিকার রক্ষার লড়াই। নরেন্দ্র মোদী নিজের বেছএ নেওয়া নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেছেন। নির্বাচনের ঠিক আগে দুই মুখ্যমন্ত্রীকে কারাগারে বন্দী করেছেন। কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছেন। যাতে বিরোধীদের চূর্ণ করা যায়। এমনকি, তিনি বিচারব্যবস্থার উপরও চাপ সৃষ্টি করছেন। তাদের এই ‘ম্যাচ ফিক্সিং’-এর প্রচেষ্টা সফল হলে, এই দেশে আগুন জ্বলবে।”
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারির তদন্তে, সম্প্রতি, গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে। ভারতে এই প্রথম কোনও ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। তার আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে এক জমি মামলায় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করার ঠিক আগে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। এর পাশাপাশি, অতি সম্প্রতি, কংগ্রেসকে ১৮০০ কোটি টাকার ট্যাক্স নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। আয়করে গড়মিলের অভিযোগে তাঁদের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে, নির্বাচনের কোনও কাজ করতে পারছেন না তাঁরা।





