নয়া দিল্লি: বছরের শেষ ‘মন কী বাত’ (Mann Ki Baat), ৭২তম পর্বে দেশের প্রধানমন্ত্রী ফের একবার ‘ভোকাল’ হলেন লোকালের জন্য। বিদেশী পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশজ পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার পাশাপাশি এদিনের ‘মন কী বাত’-এ ‘একুশের রেজিলিউশন’-ও (New Year Resolution) দিয়ে দিলেন নমো। নতুন বছর হবে ‘সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক’ মুক্ত ভারত, ‘মন কী বাত’-এ বার্তা নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। এখানেই শেষ নয়, এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্ত করলেন তাঁর ‘শিখ প্রীতি’। দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিলেন গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পরিবারের আত্মত্যাগের কথা। একই সঙ্গে নিজের বিশেষ রেডিয়ো অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীরের কেশরের (Kashmiri Saffron) জিআই (Geographical Indication) ট্যাগ এক বিরাট সাফল্য।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানের নির্বাচিত অংশ পড়ুন:
করোনা সঙ্কটের সঙ্গেই সুযোগ এনে দিয়েছে
করোনাকালে গোটা বিশ্বই ‘সাপ্লাই চেন’ নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। আমরাও অনেক বাধা পেয়েছি। তবে এই সঙ্কটেও তৈরি হয়েছে অনেক অনেক সম্ভবনা। আমাদের সামনে ছিল অফুরান সুযোগের হাতছানি। আমরা এক অনন্য সামর্থ্য অর্জন করতে পেরেছি, যার নাম ‘আত্মনির্ভর ভারত’।
‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ টয়ের বাজার
আগে সিংহভাগ বিক্রেতাদের কাছে বিদেশী খেলনার সম্ভার থাকত সর্বাধিক। এখন সেই ছবিটা পাল্টেছে। ক্রেতারা দেশের তৈরি খেলনা চাইছেন। আর সেকারণেই বাজারে চাহিদা বেড়েছে দেশজ খেলনার। বিক্রেতারাও বলছেন, “এই খেলনাগুলো ভাল, কারণ তা দেশীয়।” দেশবাসীর ভাবনায় এক বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এই একবছরের মধ্যেই এই রূপান্তর ঘটেছে, যা ‘লোকাল ফর ভোকাল’-এর উজ্জ্বলতম উদাহরণ।
দেশীয় পণ্যের মানোন্নয়ন
সময় এসেছে, দেশের পণ্যকে বিশ্বমানের করার। আমি নিজে পণ্য উৎপাদকদের সঙ্গে কথা বলেছি, দেশজ পণ্যের মনোন্নয়নের জন্য। বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে দেশের সামগ্রী দিয়ে পণ্য উৎপাদনে জোর দিতে হবে, সেকথাও বলেছি। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পণ্য যেন ভারতেই তৈরি হয়, সেদিকেই আমাদের নজর থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’! জনমত আদায়ে এবার কোমর বাঁধছে বিজেপি
গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পরিবারের আত্মত্যাগকে স্মরণ
আততায়ীদের হাত থেকে, অত্যাচারীদের হাত থেকে আমাদের দেশের প্রাচীন ইতিহাস, সভ্যতাকে বাঁচাতে অনেকেই নিজের বলিদান দিয়েছেন। আজ তাঁদের স্মরণ করার দিন। আজকের দিনেই গুরু গোবিন্দ সিংয়ের সন্তানরা শিখ পরম্পরাকে অখ্যত রাখতে মৃত্যুর সামনে নির্ভিকতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। আজকের দিনেই গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মা গুজরিজি শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের এই আত্মবলিদানই ভারতের স্বরূপ বাঁচিয়ে রেখেছে।
দেশে বেড়েছে চিতা ও সিংহের সংখ্যা
২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতে ৬০ শতাংশ চিতার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪-তে দেশে চিতার সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৯০০। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৮৫২। উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে সিংহের সংখ্যাও।
একুশ হবে প্লাস্টিক মুক্ত ভারত
করোনার কারণে এবছর সেভাবে ‘সিঙ্গল-ইউজ’ প্লাস্টিক না ব্যবহার করার বিষয়টি নিয়ে সেভাবে আলোচনাই হয়নি। তবে নতুন বছরে এই বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতেই হবে, নতুন বছরে আমরা ‘সিঙ্গল-ইউজ’ প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকব।