Indus Water Treaty: জল তো পাচ্ছেই না, সিন্ধু নিয়ে পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলল ভারত
India-Pakistan: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পর এবার কোন পথে এগোবে ভারত? কোথায় তৈরি হবে বাঁধ? কোথায় গড়ে উঠবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র? সমগ্র ব্লুপ্রিন্ট স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর।

নয়া দিল্লি: রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না- পাকিস্তানকে এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছে ভারত। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পর এবার কোন পথে এগোবে ভারত? কোথায় তৈরি হবে বাঁধ? কোথায় গড়ে উঠবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র? সমগ্র ব্লুপ্রিন্ট স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর।
সাফ জানানো হল, বন্ধ হবে না পাইপলাইনে থাকা কোনও প্রকল্পের কাজ। বরং পরিকল্পনা স্তর বা নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলধারণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। পাকিস্তানকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছেন মন্ত্রী।
জল যুদ্ধে কোন ব্লু প্রিন্ট এগোচ্ছে ভারত?
২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরেই সিন্ধু জলচুক্তির সম্পূর্ণ বিপরীতে জম্মু কাশ্মীরের প্রথম গভীর জলাধার সম্পন্ন (১০৯ কিউবিক মিটার) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পাকাল ডাল (Pakal Dul) এর কমিশন বা নির্দেশ (commission) করতে পারে সরকার।
পহেলগাঁও হামলার আগেই নদীর প্রাকৃতিক স্রোতকে টারবাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে জন্য চারটি ক্ষেত্রে প্রজেক্ট ঘোষণা করেছিল ভারত। এক্ষেত্রে যেহেতু বড় গভীর জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল না, তাই পাকিস্তানের আপত্তি থাকারও কারণ ছিল না।
পরিকল্পনা ছিল, সিন্ধ নালার উপর ৯৩ মেগাওয়াটের নতুন গন্দেরবাল প্রকল্পের। কীর্থাই ২ তে ৯৩০ মেগাওয়াট, চেনাব নদীর উপর সওয়ালকোটে ১৮৫৬ মেগাওয়াট এবং ঝিলম নদীর উপর ২৪০ মেগাওয়াটের উরি ১, স্টেজ ২ প্রকল্পের পরিকল্পনা ছিল।
এছাড়াও নদীর প্রাকৃতিক স্রোতকে টারবাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের আরও দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (Central Electricity Authority)।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে ১০৮৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এখনও মোট ৯টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গভীর জলাধার এবং বাঁধ-সহ ৩টি প্রকল্প সম্ভব কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। চেনাবের উপনদী মরুসূদরের উপর বুরাসর প্রজেক্ট, গঙ্গবাল এবং ওয়ার্ডওয়ান বুরাসর প্রজেক্ট নিয়েও আলোচনা চলছে।





