ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কৃষি আইন নিয়ে বিতর্ক, ‘একপেশে আলোচনা’ বলে কড়া বার্তা ভারতের

তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী | Edited By: arunava roy

Mar 09, 2021 | 6:06 PM

২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির সীমানায় নয়া কৃষি আইনের (Farm Law) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে কৃষকরা৷ সমাধান সূত্র বের করতে সরকারের সঙ্গে ১০ দফা বৈঠকে বসেছেন কৃষকরা। এই ইস্যুতে এর আগে টুইটারে মত প্রকাশ করেছিলেন পপ তারক রিহানা (Rihanna), গ্রেটা থুনবার্গের (Greta Thunberg) মতো ব্যক্তিত্বরা।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কৃষি আইন নিয়ে বিতর্ক, একপেশে আলোচনা বলে কড়া বার্তা ভারতের

Follow Us

লন্ডন: ভারতের নতুন কৃষি আইনকে (Farm Law) আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ এর আগে উল্লেখ করেছিল ইউকে। কিন্তু সম্প্রতি সেই ইউকে পার্লামেন্টে (UK parliament) বিতর্কের ঝড় উঠল সেই কৃষি আইন ঘিরেই। সঙ্গে ভারতে সংবাদমাধ্যমের (Freedom of press) স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আর সেই বিতর্কের তীব্র বিরোধিতা করল ভারত। সেই বিতর্ককে একপেশে বলে উল্লেখ করে কড়া বার্তা দিল ভারত।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হলে ৯০ মিনিট রাখা হয়েছিন ওই বিতর্কের জন্য। ১৭ থেকে ১৮ জন ব্রিটিশ সাংসদ সেই বিতর্কে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছে। আর সেই বিতর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওই বিতর্কে অংশ নিয়েছিল লেবার ও কনজারভেটিভ দুই দলের সদস্যরাই। দু’পক্ষেরই মত, ভারতে কৃষকদের প্রতি অবিচার হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমনকি ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা হয়েছে। সমাজকর্মীদের আটক করা হয় বলেই উল্লেখ করেছেন ওই ব্রিটিশ সাংসদরা। ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ জারেমি কোরবাইনের দাবি, ভারতে কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২৫০ মিলিয়ন মানুষ। এই বিতর্কে ছিলেন জন্মসূত্রে পাক অধিকৃত কাশ্মীরি সাংসদ তাহির আলি। তাঁর দাবি, ইউকে সরকারের উচিত ভারতের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত।

ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে সাধারণত, ইউকে পার্লামেন্টে আলোচিত কোনও বিষয় নিয়ে ভারতের তরফে মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেহেতু আলোচনার বিষয়-বস্তু ভারত, তাই এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, বিতর্কে কোনও সমতা ছিল না। একপেশে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভুল বোঝাতেই এই বিতর্কে কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে, এমনতি ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে কথাও বলা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতেও ব্রিটিশ সাংবাদিক রয়েছেন, তাঁদের উপস্থিতিতেই সব কিছু ঘটেছে। অথচ ভারতে কখনও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি।

Next Article