AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সমুদ্রের তলায় যকের ধন পেল ভারত, তুলতে কি পারবে?

Deep Sea: গভীর সমুদ্রে গবেষণা চালানোর সময় একটি রহস্যময় স্তর তাঁদের নজরে আসে। ওই স্তর আসলে কী? কোথা থেকে এল? প্রথমে সেটা বোঝা যায়নি। বিস্তর পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে ওটা হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্র।

সমুদ্রের তলায় যকের ধন পেল ভারত, তুলতে কি পারবে?
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Pixabay
| Updated on: Dec 20, 2024 | 3:49 PM
Share

একের পর এক স্তর। সেগুলো কোনও একটা পাতলা জিনিস দিয়ে মোড়া। জাম্বো স্যাইন্ডউইচ যেমন হয়, ঠিক তেমন। সমুদ্রের নীচে তেমনই এক জাম্বো স্যান্ডউইচ। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আরও এক সাড়াজাগানো আবিষ্কার।

মহাকাশে ইসরো কী কী কামাল করছে। ডিআরডিও বা সেনা কী কী মাইলস্টোন পার করছে, তো নিয়ে হামেশাই চর্চা হয়।  এবার সমুদ্রের গভীরে ভারতের সাড়া জাগানো উদ্ভাবন। সমুদ্রের গভীরে বিশাল হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্র আবিষ্কার করল ভারত।

গভীর সমুদ্রে গবেষণা চালানোর সময় একটি রহস্যময় স্তর তাঁদের নজরে আসে। ওই স্তর আসলে কী? কোথা থেকে এল? প্রথমে সেটা বোঝা যায়নি। বিস্তর পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে ওটা হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্র। পৃথিবীতে যে জায়গায় দুটি টেকটোনিক প্লেট দূরে সরে যায় বা একে অপরের দিকে এগিয়ে চলে, সেখানেই এই ধরণের হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্র তৈরি হয়। ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে এই গবেষণা চালিয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ। তখনই জাম্বো স্যান্ডউইচের মতো ওই স্তরের খোঁজ মেলে।

এখন প্রশ্ন হল, এই আবিষ্কারে হবেটা কী? ওই হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড স্তর কোন কাজে লাগবে? সমুদ্র বিজ্ঞানীদের দাবি, ওখান থেকে কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার রকমের খনিজের খোঁজ মিলতে পারে। তাঁরা বলছেন, আমরা এমন একটা জিনিসের খোঁজ পেয়েছি, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। একইসঙ্গে তাঁরা এটাও বলছেন যে এই হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড স্তরে খনন করে ধাতুর খোঁজ চালানোর পরিকাঠামো ভারতের নেই।

রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, পোল্যান্ড বাদে আর কারোর হাতেই তা নেই। তাই এখান থেকে ধাতুর খোঁজ করতে গেলে ভারতকে অন্য দেশের হাত ধরতে হবে। ২০২৫-এর শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে ভারতের সমুদ্র অভিযান। মিশন সমুদ্রযান। সমুদ্রের ৬ কিলোমিটার নীচে নেমে গবেষণা চালাবে ভারত। ২০২৮ সালে জলপথে পৃথিবীর শেষ বিন্দু পয়েন্ট নিমোয় ভারতের মিশন।