কলকাতা: গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ কোথায় বেশি? পশ্চিমবঙ্গ নাকি ত্রিপুরা? তা সরিজমিনে খতিয়ে দেখতে এ বার ভিনরাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির কথা ভাবছে আইএসএফও। হুবহু তৃণমূলের দেখানো পথেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংগঠন গড়তে সেদিকে পা বাড়াতে চলেছে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দল। সূত্রের খবর এমনটাই। ঠিক যেভাবে তৃণমূল ত্রিপুরা পাখির চোখ করে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে সংগঠন বাড়ানোয় মন দিয়েছে। আইএসএফও সেই পদাঙ্কই অনুসরণ করছে।
মূলত ত্রিপুরা, অসম ও মেঘালয়ের আদিবাসী এবং উপজাতি শ্রেণির মানুষদের কাছে টানার লক্ষ্যে আইএসএফ ভিনরাজ্যে এই সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে চলেছে বলে খবর। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাস নাগাদ ত্রিপুরা সফর করতে পারেন আব্বাস এবং নওশাদ সিদ্দিকিরা। সঠিক সময় নির্ধারণের পরই সরকারিভাবে সেই ঘোষণা করা হবে। তবে আইএসএফ-র এই নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে বামফ্রন্টের কোনও ভূমিকা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আগামী বছর হতে চলা উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটকেও নজরে রেখেছে আইএসএফ।
ভোট মেটার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বামফন্ট্রের পক্ষ থেকে এখনও আইএসএফ-র সঙ্গে কোনও যৌথ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এ বার আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে এককভাবে সংবিধান বাঁচাও কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে আইএসএফ পক্ষ থেকে। এমনটাই খবর সূত্রের। এখনও পর্যন্ত বামেদের পক্ষ থেকে যৌথ কোনও কর্মসূচি পালনের আমন্ত্রণ আসেনি বলেই দাবি আইএসএফ-র। তাই এখন কিছুটা ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েও এগোতে চাইছেন আব্বাস-নওশাদরা।
সিপিএম ইতিমধ্যেই বলে রেখেছে যে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধিতার শর্তে তারা তৃণমূলের হাত ধরতে রাজি। তবে এ রাজ্যের বাইরে সংগঠন বাড়ালে আইএসএফ-ও একই পথ ধরে হাঁটবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। তবে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে যে অবিজেপি মঞ্চকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, সে বিষয়ে একমত হয়েছে সেকুলার ফ্রন্টও। একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপদেশ দেওয়া হয়েছে নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং নেতাজির জীবনী পড়ার। এই জায়গাগুলিতে খামতি রয়ে গিয়েছে বলেই আইএসএফ-এর পরিচিতি ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে হয়েছে বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: নিত্যযাত্রীদের জন্য স্বস্তির খবর! এবার ৫ মিনিট অন্তর মিলবে মেট্রো