বিহারের পর ‘ভোট কাটার’ ওয়েইসির নজর বাংলায়, চিন্তায় তৃণমূল

Nov 11, 2020 | 2:11 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার (Bihar) ভোটে ২০টি আসনে লড়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এমআইএম। জিতেছে পাঁচটি আসনে।ওয়েইসির দলের এই জয় নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে বাংলার শাসকদলের। বিহারে খাতা খোলার পর এবার কি তবে ‘মিশন বাংলা’, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির। আর তেমনটা হলে মমতার দলের সংখ্যালঘু ভোটে যে ভাগ পড়তে […]

বিহারের পর ভোট কাটার ওয়েইসির নজর বাংলায়, চিন্তায় তৃণমূল
ফাইল চিত্র।

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিহার (Bihar) ভোটে ২০টি আসনে লড়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এমআইএম। জিতেছে পাঁচটি আসনে।ওয়েইসির দলের এই জয় নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে বাংলার শাসকদলের। বিহারে খাতা খোলার পর এবার কি তবে ‘মিশন বাংলা’, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির। আর তেমনটা হলে মমতার দলের সংখ্যালঘু ভোটে যে ভাগ পড়তে পারে সে কথাও বলছেন তাঁরা।

গত লোকসভা ভোট থেকেই বাংলায় ঘুরপাক খাচ্ছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)-এর নাম। তাঁর দল মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) (MIM) এ রাজ্যে খাতা খুলতে চাইছে। ভোটের আগে মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সংগঠনকে চাঙ্গা করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ব্রিগেডে সভা করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) ।

তবে সে সময় তেমন অক্সিজেন পাননি। এবার বিহারের (Bihar) ফলাফলের পর নতুন উদ্যমে বাংলায় (Bengal) নজর দেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। ওয়েইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্যের ভোট কেটে তা বিজেপির ঘরে দেন তিনি। এ বিষয়ে অবশ্য মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতার দাবি, “কি মনে হয়, আমাদের নির্বাচন লড়ার ক্ষমতা নেই? বাংলা, উত্তর প্রদেশ, দেশের সব জায়গায় এবার ভোটে লড়ব আমরা।” খানিকটা গলা চড়িয়েই পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন ওয়েইসি, “আমাকে কি ভোটে লড়তে কারও অনুমতি নিতে হবে?” যদিও সেই ভোটের ময়দানে লড়াইটা তাঁর দল একাই করবে নাকি বিহারের মতোই বাংলাতেও কারও সঙ্গে জোট বাঁধবে তা এখনও স্পষ্ট করতে চাননি।

ইতিমধ্যেই ওয়েইসিকে ‘ভোট কাটার’ বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। মহাগঠবন্ধনের ভোট কেটে অন্যদের ঝুলি ভরার দায়িত্বটা ওয়েইসির কাঁধে ছিল বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন অধীর। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়েইসি বলেন,”নিজের সংসদীয় এলাকায় মুসলিমদের এতো দুর্ভোগ কেন আগে সে প্রশ্নের জবাবটা অধীর চৌধুরীকে দিতে হবে। বলতে হবে, মুসলিমদের জন্য তিনি কী করেছেন।”

বিহারের এই ফলাফল ওয়েইসিকে অনেক বেশি আত্ম প্রত্য়য়ী করে তুলেছে। এর প্রভাব আগামী বিধানসভা ভোটগুলিতেও পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাংলার সীমানা লাগোয়া বিহারের পূর্ণিয়া কিংবা কিষাণগঞ্জে তাঁর দলের ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদেও নিজের শক্তি জাহির করতে চেষ্টা করবেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলার যে সব জায়গায় বিজেপিকে নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন সংখ্যালঘুরা সেখানে ওয়েইসি একটা আলাদা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। সংখ্যালঘুদের মুখ হয়ে উঠতে পারেন তিনি। আর সেখানে অনুঘটকের কাজ করবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা দলীয় মনোমালিন্য। যা চিন্তায় রাখছে খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)কে।

Next Article