লাদাখ: মহাকাশে নানা চ্যালেঞ্জ। সেখানকার প্রতিকূল পরিস্থিতি। মহাকাশচারীদের সেইসব মোকাবিলা করেই মহাকাশে গবেষণা চালাতে হয়। মহাকাশের সেইসব প্রতিকূল পরিস্থিতির ‘অভিজ্ঞতা’ যাতে আগেভাগেই হয়, তার জন্য নতুন মিশন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO)। লাদাখের লেহতে প্রথম অ্যানালগ মহাকাশ মিশন শুরু করল তারা। মহাকাশে মহাকাশচারীদের নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সাহায্য করবে এই মিশন।
শুক্রবার এই মিশন শুরু করে এক্স হ্যান্ডলে ইসরো লিখেছে, “পৃথিবীর বাইরে কোনও বেস স্টেশনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে এই মিশন।” ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। মঙ্গল অভিযানের লক্ষ্যেও এগোচ্ছে। তার আগে মহাকাশচারীদের প্রস্তুত রাখতে চায় ইসরো। কিন্তু, এই মিশনের জন্য লেহকে কেন বেছে নেওয়া হল? ইসরো জানিয়েছে, মঙ্গল ও চাঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশিক্ষণের জন্য লেহকে বেছে নেওয়ার নানা কারণ রয়েছে। লেহ-র ভূতাত্ত্বিক গঠন। সেখানকার জলবায়ু। শুষ্ক ও ঠান্ডা। তার উচ্চতা। সবমিলিয়ে লেহ-র সঙ্গে চাঁদ ও মঙ্গলের পরিবেশের অনেকাংশে মিল রয়েছে। তাই, এই মিশনের জন্য লেহকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে ইসরো জানিয়েছে।
প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অলোক কুমার প্রথম এই মিশন লেহতে করার জন্য় সুপারিশ করেন। এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেসফ্লাইট সেন্টার। সহযোগিতা করেছে আকা স্পেস স্টুডিয়ো, লাদাখ বিশ্ববিদ্যালয়, বম্বে আইআইটি। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল। এই মিশনের ডিজাইন করেছে আকা স্পেস স্টুডিয়ো। ২১ দিন ধরে চলবে এই মিশন। প্রত্যেকদিন এই মিশনে অংশ নেওয়া মহাকাশচারীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। সেইমতো বোঝার চেষ্টা করা হবে, মহাকাশে তাঁদের কোন কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। গগনযান মিশনের মহাকাশচারীদের জন্য এই মিশন কার্যকর হবে বলে আশাবাদী ইসরো।