ঔরঙ্গাবাদ: ১৮ বছরের ‘নরক যন্ত্রণা’ থেকে মুক্তি। ইসলামাবাদে প্রায় দুই দশক কারাবাস কাটিয়ে দেশে ফিরলেন মহারাষ্ট্রের মহিলা। ৬৮ বছরের প্রবীন নাগরিককে ভারতে স্বাগত জানাল ঔরঙ্গাবাদের পুলিশ। দেশে ফিরে প্রবীন নাগরিক একেবারে আবেগে আপ্লুত। সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় হাসিনা বেগম নামের এই মহিলা জানালেন, “মনে হচ্ছে স্বর্গে এলাম।”
আরও পড়ুন: এবার বাজেটে বদল আসবে আয়করে? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
হাসিনা বেগম (Hasina Begam) নামের এই মহিলা আজ থেকে ১৮ বছর আগে পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়েছিলেন আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে। লাহৌরে তাঁর পাসপোর্ট হারিয়ে যায়। হাসিনা বেগমের অভিযোগ, পাসপোর্ট হারানোর পর পাকিস্তান সরকার তাঁকে বল পূর্বক জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘ দেড় যুগ তাঁকে হাজতেই থাকতে হয়েছে। দেশের মাটিতে পা রেখেই হাসিনা বেগম বলেন, “পাকিস্তানে আমাকে জোর করে জেলবন্দি করা হয়েছিল। এই সময়ে আমি দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। দেশে ফিরতে পেরে শান্তি অনুভব করছি।”
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে কোন ৫ সমস্যা মাথায় রাখবেন নির্মলা?
প্রসঙ্গত, হাসিনা বেগমের পরিবারের তরফে ঔরঙ্গাবাদ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরই তৎপর হয় প্রশাসন। রাশিদপুরের বাসিন্দাকে দেশে ফেরাতে ইসলামাবাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি। ঔরাঙ্গাবাদ পুলিশের তৎপরতায় একুশের শুরুতেই দেশে ফিরতে পেরেছেন হাসিনা বেগম। উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে বন্দি মুক্তির যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে উল্লেখ করা হয়, ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ২৬৩ জন পাকিস্তানি নাগরিক বন্দি রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৭৭ জন মৎসজীবী। অন্যদিকে পাকিস্তানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে ৪৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছাড়াও অন্তত ২৭০ জন মৎসজীবী জেলবন্দি রেয়েছেন। মৎসজীবীরা ভারতীয় বলেই দাবি করেছে পাকিস্তান।