ঝাড়খণ্ড : বাংলাজুড়ে যখন অবৈধ কয়লা পাচার(Coal Smuggling) রুখতে তৎপর সিবিআই, তখনই প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডে বেআইনী কয়লা খাদানের তল্লাশি করতে গিয়ে মাফিয়াদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন ইসিএলএর কর্মীরা।
শুক্রবার রাতে ঝাড়খন্ডের নলা থানার কাস্তা এলাকায় ইসিএলের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক মুকেশ কুমারের নেতৃত্বে প্রায় ত্রিশ পয়ত্রিশ জনের একটি দল অভিযানে যান। ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষীরা সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন প্রায় দু শো টি লরিতে কয়লা বোঝাই করে পাচার(Coal Smuggling) করার চেষ্টা চলছে। রয়েছে পোকল্যান্ড ও জেসিপি মেশিন। এই অবস্থায় ট্রাক গুলি আটকানোর চেষ্টা করলে কয়লা-চোরেদের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় দুশো বাসিন্দা ইসিএলের কর্তাদের ঘিরে ধরে ইট পাথর ছুড়তে থাকে। লাঠি চালাতে থাকে। তাঁদের গাড়ির ওপর হামলা চালানো হয়। বোলোরো স্কারপিও সহ ৮ টি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। লাঠি ও ইঁটের ঘায়ে জখম হন কমপক্ষে সাতজন নিরাপত্তা কর্মী।
আরও পড়ুন : ৯০ বার লালাকে হাতেনাতে ধরে ফেলার ‘অপরাধে’ চরম শাস্তি পান ইসিএল কর্তা
এলোপাথাড়ি হামলা থেকে বাঁচতে জঙ্গলে পালিয়ে যান ইসিএলের নিরাপত্তা কর্মী ও সিআইএসএফ আধিকারিকরা। শনিবার নলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আহত নিরাপত্তা আধিকারিক মুকেশ কুমার জানান, তাঁরা যে ২৪ টি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করেন সেইগুলুৃির নম্বর পুলিসকে দেওয়া হয়েছে। ধৃত তিন চালককেও আটক করা হয়েছে। তাঁদের দলের তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর সহ সাত জন গুরুতর আহত। আইসিএফ বাহিনীর অভিযোগ ঝাড়খণ্ডের এই সিণ্ডিকেটটি ইস্টার্ন কোলিয়ারিরই অংশ। বাংলায় সিণ্ডিকেট বন্ধ হওয়ার পর এখন এই পাচারকারীদের পাখির চোখ ঝাড়খণ্ডে। গ্রামবাসীদের একাংশই এই চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন : ফোনে চেয়ে নিলেন ৩ দিন সময়, কয়লা পাচারের ‘সম্রাট’ লালা এড়ালেন সিবিআই হাজিরা
উল্লেখ্য, বাংলায় কয়লাচুরি(Coal Smuggling) মামলার তদন্ত শুরু করার পরেই রাজ্যের খনি অঞ্চলে ক্যাম্প গড়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। পাশাপাশি গোয়েন্দাদের বিশেষ দল আসানসোল, দুর্গাপুর, রানীগঞ্জের ওই অঞ্চলে খনিগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে। ইসিএলের লিজ নেওয়া খনিতে গিয়ে ছবি তুলে ও ভিডিওগ্রাফি করেও রাখা হচ্ছে। কয়লাখনির সেই ছবি ও ভিডিও পাঠানো হচ্ছে কোল ইন্ডিয়াকেও।