অবসর নিলেন বোবদে, সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি হলেন এনভি রমন
গতকাল প্রধান বিচারপতি পদ থেকে এসএ বোবদে অবসর গ্রহণ করার পর, শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি এনভি রমন।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন এনভি রমন। শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ নেন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। করোনা সংক্রমণের কারণে ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের ৪৭ তম প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন এসএ বোবদে। গত মাসেই তাঁকে কেন্দ্রের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তাঁর অবসরের পর কে প্রধান বিচারপতি হবেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ একটি চিঠিও লিখেছিলেন।
নিয়ম মতো, প্রধান বিচারপতির পর সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বিচারপতি যিনি থাকেন, তাঁকেই নিয়োগ করা হয়। সেই হিসাবেই এনভি রমনের নাম সুপারিশ করেন প্রাক্তন বিচারপতি এসএ বোবদে। গত ৬ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি এই সুপারিশে সিলমোহর দেন। এ দিন সকালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করেন।
Delhi: Justice NV Ramana takes oath as the new Chief Justice of India (CJI). He was administered the oath by President Ram Nath Kovind, at Rashtrapati Bhavan. pic.twitter.com/jDESeLZh2D
— ANI (@ANI) April 24, 2021
প্রাক্তন বিচারপতিকে বিদায় জানাতে গিয়ে গতকাল এনভি রমন বলেন, “আমরা অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে আমাদের। বহু আইনজীবী, বিচারপতি ও আদালতের কর্মচারীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের এই শৃঙ্খল ভাঙতে আমাদের কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা এই মহামরীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হব।”
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এনভি রমনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হল সুপ্রিম কোর্টের ছয়টি শূন্যপদ পূরণ। ২০২২ সালের ২৬ অগস্ট অবধি তিনি প্রধান বিচারপতির পদে থাকবেন।
একনজরে চিনে নেওয়া যাক এনভি রমনকে-
১৯৫৭ সালের ২৭ অগস্ট অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এনভি রমন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি আইন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। কর্মজীবনের সূচনায় তিনি অন্ধ্র প্রদেশের হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে প্রাকটিস শুরু করেন। এরপর অন্ধ্র প্রদেশ সেন্ট্রাল ও প্রশাসনিক ট্রাইবুন্যালে আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে সিভিল, অপরাধ, সংবিধান, শ্রম ও নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাও লড়েছেন।
২০০০ সালে ২৭ জুন তিনি অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালে তাঁকে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এরপর ২০১৪ সাল থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘটনাটি দ্রুত পর্যালোচনার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সঠিক সময়ে পৌঁছল না অক্সিজেন, দিল্লির হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু ২০ করোনা রোগীর