AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalyan-Mahua: ‘ইংরেজি বলা সুন্দরী মহিলার যদি দলে দাম থাকে, থাকবে… বোঝাই যাচ্ছে কী কালচার’, মহুয়া-কল্যাণ সংঘাত এবার আরও প্রকাশ্যে

Kalyan-Mahua: এরই মধ্যে কল্যাণকে ফোন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিষেক কল্যাণকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন, আপাতত তিনদিন কাজ করতেও বলেছেন।

Kalyan-Mahua: 'ইংরেজি বলা সুন্দরী মহিলার যদি দলে দাম থাকে, থাকবে... বোঝাই যাচ্ছে কী কালচার', মহুয়া-কল্যাণ সংঘাত এবার আরও প্রকাশ্যে
Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2025 | 7:07 PM
Share

নয়া দিল্লি: সোমবার দুপুর। রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডে তৃণমূলের নতুন পার্টি অফিসের সামনে জড় হয়েছেন সাংবাদিকরা। একের পর এক তৃণমূল সাংসদের গাড়ি ঢুকছে। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ গেট খুলে ভিতরে ঢুকল একটি গাড়ি। নামলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মুহূর্তে বদলে গেল ছবিটা।

মহুয়ার পিছন ফিরে কল্যাণ বলে উঠলেন, “কার মুখ দেখলাম, আজ দিনটাই গেল…।” এখানেই শেষ নয়, বৈঠকেও উঠে এল সেই সংঘাত প্রসঙ্গ! নাম না করেই মমতা বুঝিয়ে দিলেন, দুই সাংসদের সংঘাত বরদাস্ত করা হবে না।

মাস কয়েক আগে নির্বাচন কমিশনের অফিসে কল্যাণের সঙ্গে মহুয়ার সংঘাত একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। সাংবাদিক বৈঠকে মহুয়া বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কল্যাণ কোনও রাখঢাক না করেই। এবার বাদল অধিবেশনের মধ্যেই আবারও নতুন অভিযোগ সামনে এসেছে।

সম্প্রতি সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে বক্তব্য রেখেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়নী ঘোষ। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে লোকসভায় কথা বলতে চেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু কে বলবেন তা ঠিক করার দায়িত্বে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহুয়াকে বলতে দেননি বলে অভিযোগ। এদিকে, আবার দলের সমন্বয় সাধনের কাজ থেকেও কল্যাণকে এদিন সরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে চিফ হুইপ পদে ইস্তফাও দেন কল্যাণ।

এদিন বৈঠক শেষে কল্যাণ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বলেছিলাম দিনটা খারাপ যাবে, খারাপই গেল।” কেন খারাপ গেল? সে ব্যাখ্যা না দিলেও এদিন কল্যাণ আবারও মহুয়ার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।

তিনি বলেন, “দলকে জানিয়েছি। যা করার করবে। আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমি আমার ডিগনিটি নষ্ট করতে পারব না। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে যদি বাকি সাংসদরা খুশি হয়, তাহলে হবে। আমি সবাইকে জানিয়েছি, দলনেত্রীকেও জানিয়েছি। কোনও ফল হচ্ছে না।” আপনি কি হতাশ? প্রশ্ন করতেই উত্তরে কল্যাণ বলেন, “হতাশার কী আছে। ইংরেজি বলা সুন্দরী মহিলার যদি দলে দাম থাকে, তাহলে থাকবে। একজন এমপি-কে গালাগাল দিচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে কী কালচার। ভাল ভাল শাড়ি পরলেই তো আর বড় কেউ হওয়া যায় না।”

এরই মধ্যে কল্যাণকে ফোন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিষেক কল্যাণকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন, আপাতত তিনদিন কাজ করতেও বলেছেন। জানা যাচ্ছে, কল্যাণ দাবি করেছেন যে,  সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তা হিসেবে লোকসভায় কে বলবে তা মুখ্যমন্ত্রী যে জানতেন না বলছেন, তা ঠিক বলছেন না। মহুয়া নয়, সায়নী যে বলবেন, তা নিয়ে মমতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন কল্যাণ।