Dharmasthala Mass Burial Case: ধর্মস্থলকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, গণকবরের খোঁজ দেওয়া ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করল পুলিশ! কেন?
Dharmasthala Case: পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, ধর্মস্থলের একাধিক জায়গায় দেহ চাপা দিতে সাহায্য করেছেন তিনি। অন্তত ৭০ থেকে ৮০টি দেহ চাপা দেওয়া রয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

বেঙ্গালুরু: ধর্মস্থল গণকবর কাণ্ডে বিরাট মোড়। যে ব্যক্তি গণ কবরের বিষয়টি সামনে এনেছিলেন, তাঁকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সিট ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আজ। ধৃত ব্যক্তিকে আজ , শনিবারই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হবে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে হঠাৎ চর্চায় উঠে আসে কর্নাটকের ধর্মস্থল। সিএন চিন্নায়া ওরফে চেন্না নামক এক ব্যক্তি, যিনি মন্দিরের প্রাক্তন সাফাইকর্মী হঠাৎ একদিন থানায় হাজির হন হাতে খুলি নিয়ে। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, ধর্মস্থলের একাধিক জায়গায় দেহ চাপা দিতে সাহায্য করেছেন তিনি। অন্তত ৭০ থেকে ৮০টি দেহ চাপা দেওয়া রয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, কবর খুঁড়ে একটি খুলি বের করে এনেছিলেন পুলিশের কাছে প্রমাণ পেশ করার জন্য। প্রাণহানির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। তাই পুলিশের তরফে তাঁকে সুরক্ষাও দেওয়া হয়। তবে আজ কর্নাটক পুলিশের সিট তাঁকেই গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি যে খুলিটি নিয়ে এসেছিলেন, তা নকল। মিথ্যা তথ্য পেশের অভিযোগে সারা রাত জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ানও পেশ করেছেন তিনি।
আরেক মহিলাও দাবি করেছিলেন যে তাঁর মেয়ে ধর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। পরে তিনিও নিজের বয়ান বদল করে নেন। এদিকে, ধর্মস্থলের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস বনাম বিজেপির তুমুল তরজা শুরু হয়েছিল। বিজেপির দাবি ছিল, কংগ্রেস এইসব প্রচার করে মন্দির শহরের সম্মানহানির চেষ্টা করছে। কংগ্রেসও পাল্টা বলে যে বিজেপি এইসব মিথ্য়াচার করে আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে।

