AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bike Taxi: বাইক ট্যাক্সি কি আদৌ চালানো যাবে? রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ হাই কোর্টের

Karnataka High Court: হাই কোর্টের বেঞ্চের তরফে সাফ বলা হয়, "আমরা এমন কোনও অর্ডার দিইনি। যদি ওরা (বাইক ট্যাক্সি অপারেটর) ব্যবসা শুরু করে, তবে আপনারা (রাজ্য) যা ইচ্ছে পদক্ষেপ করতে পারেন।"

Bike Taxi: বাইক ট্যাক্সি কি আদৌ চালানো যাবে? রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ হাই কোর্টের
ফাইল চিত্র।Image Credit: PTI
| Updated on: Aug 22, 2025 | 2:56 PM
Share

বেঙ্গালুরু: শহরে বাইক ট্যাক্সি চলবে কি না? এই নিয়েই বিভ্রান্তি। কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে এই রাজ্যজুড়ে সংশয়। রাস্তায় নেমেও পড়েছিল বাইক ট্যাক্সি। তড়িঘড়ি কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে রায়ের ব্যাখ্যা করা হল। আদালত জানাল, তাদের নির্দেশে কোথাও রাজ্যে বাইক ট্যাক্সি চালানোর কথা বলা হয়নি।

২০ অগস্ট বিচারপতি বিভূ বাখরু ও বিচারপতি সিএম জোশীর বেঞ্চ অ্যাডভোকেট জেনারেল শশী কিরণ শেট্টিকে বলেন যে আদালতের নির্দেশ দেওয়ার পরই বাইক ট্যাক্সি অপারেটররা ফের ব্যবসা শুরু করেছেন, বাইক নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। হাই কোর্টের বেঞ্চের তরফে সাফ বলা হয়, “আমরা এমন কোনও অর্ডার দিইনি। যদি ওরা (বাইক ট্যাক্সি অপারেটর) ব্যবসা শুরু করে, তবে আপনারা (রাজ্য) যা ইচ্ছে পদক্ষেপ করতে পারেন।”

অ্যাডভোকেট জেনারেল শশী কিরণ শেট্টি বলেন, “কোনও অ্যাকশন নেওয়ার আগে আমাদের দায়িত্ব আদালতকে জানানো।” এর জবাবে বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “আমরা শুধু বলেছি যে কোনও একক ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে আগাম পদক্ষেপ করবেন না। অ্যাগ্রিগেটরদের নিয়ে আমরা কোনও পর্যবেক্ষণ রাখিনি।”

এরপরই কাউন্সিলের তরফে জানানো হয় যে হাই কোর্টের নির্দেশের পরই বহু বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “এটা হয়তো ঠিক হয়নি। আমরা এটা করব না।” হাই কোর্টের বেঞ্চের তরফেও বলা হয়, “কোনও একক ব্যক্তিকে হেনস্থা করা যাবে না। এ কথা আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, কর্নাটকে হাই কোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে বাইক ট্যাক্সি। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওলা, উবার, র‌্যাপিডোর মতো এগ্রিগেটররা। বুধবার কর্নাটক হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানায় যে বাইক ট্যাক্সি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরেরদিনই জানা যায়, একাধিক এগ্রিগেটর অ্যাপ তাদের অ্যাপে বাইক ট্য়াক্সি পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। রাস্তায় আবার ফেরে বাইক ট্যাক্সি।

বাইক ট্যাক্সি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করে হাইকোর্ট।  বলা হয়, “আজ ই-বাইকও নিষিদ্ধ। সম্পূর্ণ বৈধ ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিষেবায় অনুমতি দিলে তা নিয়ে নিয়মও তৈরি করা যায়। নিয়ন্ত্রণের অর্থ কি বন্ধ করে দেওয়া? এই বাইক ট্যাক্সি ব্যবসার বাইরে নয়।”

রাজ্য সরকারকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে এই বিষয়টি নীতি স্তরে পর্যালোচনা করা যায় কি না। আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া না হলেও, কোনও বাইক ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে যাতে পদক্ষেপ না করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয় হাই কোর্টের তরফে।