নয়া দিল্লি: দেশের অসামরিক সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণায় যারপরনাই আপ্লুত বর্ষীয়ান নেতা। তিনি এই সম্মান গ্রহণ করছেন জানিয়ে বলেন, “এটা কেবল ব্যক্তি হিসেবে আমার জন্য সম্মানের নয়, আদর্শ ও নীতির সম্মান। যে আদর্শ ও নীতির জন্য আমি সারা জীবন আমার সম্পূর্ণ সামর্থ্য দিয়ে দেশকে সেবা করার চেষ্টা করে গিয়েছি।” এই সম্মান পেয়ে তিনি ‘অত্যন্ত খুশি এবং অত্যন্ত বিনয় ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এই সম্মান গ্রহণ করছেন’ বলেও জানান লালকৃষ্ণ আদবাণী।
আদর্শ ও নীতির প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, “১৪ বছর বয়সে আমি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যোগদান করেছিলাম। তখন থেকে আমি কেবল একটি জিনিস চেয়েছিলাম – আমার প্রিয় দেশের জন্য যে কাজটি আমাকে করতে দেওয়া হয়েছে, নিষ্ঠা ও নিঃস্বার্থভাবে দেশকে সেবা করতে চেয়েছি।”
ভারতরত্ন সম্মান পেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বর্ষীয়ান নেতা। তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে মনোনীত করার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন লালকৃষ্ণ আদবাণী। একইসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে পরিবারের সদস্য, বিশেষত প্রয়াত স্ত্রী কমলার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা। তিনি বলেন, তাঁরাই (প্রয়াত স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্য) আমার জীবনের শক্তি ও ধৈর্যের উৎস ছিল।
ভারতরত্ন সম্মান পেয়ে এদিন দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীকেও স্মরণ করেছেন লালকৃষ্ণ আদবাণী। তাঁর কথায়, “যাঁদের খুব কাছ থেকে আমি কাজ করেছি, সেই দুজনকে আজ আমি স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাঁরা হলেন- পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী।” দলীয় কর্মী ও সঙ্ঘ পরিবারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণীকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দেশের উন্নয়নের জন্য যার অশেষ অবদান রয়েছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে আদবাণীকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা পোস্ট করে জানান। এব্যাপারে লালকৃ্ষ্ণ আদবাণীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং তিনি ফোনেই প্রবীণ নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী।