Lok Sabha adjourned: ওমের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই মুলতবি লোকসভা! বক্তৃতায় ‘আনন্দিত’ মোদী

Lok Sabha adjourned: দ্বিতীয় মেয়াদে লোকসভার স্পিকার হওয়ার পর, প্রথমদিনই ফের বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন ওম বিড়লা। ইন্ডিয়া এবং এনডিএ জোটের সাংসদ স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের মধ্যে এদিনের মতো মুলতবি রাখতে হল লোকসভার কার্যক্রম। ওম বিড়লার বক্তৃতাতেই প্রতিবাদ ওঠে বিরোধী আসন থেকে, যদিও এই বক্ততার ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রদানমন্ত্রী মোদী।

Lok Sabha adjourned: ওমের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই মুলতবি লোকসভা! বক্তৃতায় 'আনন্দিত' মোদী
স্পিকার পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ওম বিড়লা Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Updated on: Jun 26, 2024 | 4:14 PM

নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় মেয়াদে লোকসভার স্পিকার হওয়ার পর, প্রথমদিনই ফের বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন ওম বিড়লা। স্পিকার হিসাবে তাঁর প্রথম বক্তৃতাতেই এদিন ‘জরুরী অবস্থার সময়ের কালো দিন’-এর কথা স্মরণ করেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম উল্লেখ করে, জনগণের জীবনে স্বৈরাচারী শাসনের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন। জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, সাংসদদের দুই মিনিট নীরবতা পালন করতেও বলেন। অধ্যক্ষের এই বক্তৃতা মোটেই ভালভাবে নেয়নি বিরোধীরা। বিরোধী বেঞ্চ থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা ‘তানাশাহী বন্ধ কর’ এবং ‘দেশ কো জেল বানা দিয়া হ্যায়’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা জরুরী অবস্থায় জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে স্লোগান ওঠে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে। তুমুল হইচইয়ের মধ্যে এদিনের মতো মুলতবি রাখতে দিতে হয় লোকসভার কার্যক্রম। তবে, ওম বিড়লার বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “মাননীয় স্পিকার জরুরী অবস্থার তীব্র নিন্দা করেছেন, সেই সময়ে ঘটা বাড়াবাড়িগুলি তুলে ধরেছেন এবং যেভাবে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হয়েছিল তাও উল্লেখ করেছেন। এতে আমি আনন্দিত। সেই দিনগুলিতে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তাদের সম্মানে নীরবতা পালন করাও দুর্দান্ত পদক্ষেপ।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ৫০ বছর আগে জরুরী অবস্থা জারি করা হলেও, আজকের যুবকদের এই ঘটনা সম্পর্কে জানা উচিত। তিনি জানিয়েছেন, সংবিধানকে উপেক্ষা করা হলে, জনমতকে দাবিয়ে দেওয়া হলে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হলে কী ঘটে, তার উপযুক্ত উদাহরণ হল জরুরী অবস্থা। তিনি লিখেছেন, “জরুরী অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তা স্বৈরাচারী শাসনের উদাহরণ।”

এদিকে, জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে মোদী সরকারের এই কঠোর অবস্থান নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম। তিনি বলেছেন, “১৯৭৫ সাল থেকে গঙ্গায় প্রচুর জল বয়ে গিয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীও জরুরি অবস্থা জারি করা নিয়ে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিতও হয়েছিলেন। বিজেপির পিছনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ করা উচিত। লোকসভায় ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে প্রতিবাদ উঠছে, এটা বেশ আশ্চর্যজনক। তারা প্রতিবাদ করতে চাইলে বিরোধী বেঞ্চে চলে আসতে পারেন। আমাদের সরকার চালানোর সুযোগ দিতে পারেন। আমরা আনন্দের সঙ্গে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করব। সরকারের এক নতুন মেয়াদ শুরু করার উপযুক্ত উপায় নয় এটা। জরুরী অবস্থার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি মিটে গিয়েছে।”

কংগ্রেস ধামাচাপা দিতে চাইলেও, ‘জরুরী অবস্থা’ ইস্যুটি এত সহজে হাতছাড়া করবে না বিজেপি, তা বোঝাই যাচ্ছে। সংসদের অধিবেশন শুরুর দিনই, সংসদের বাইরে জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা জরুরী অবস্থা ইস্যুটিকে নিয়ে খুঁচিয়ে ঘা করা শুরু করেছেন। এদিন লোকসভার স্পিকারের মুখেও তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল।