TV9 বাংলা ডিজিটাল: সমাজের শত্রু ‘লভ-জিহাদ'(Love Jihad)। এবার সময় এসেছে ‘লভ জিহাদ’ (Love Jihad) রুখতে আইন প্রণয়নের । এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Karnataka Home Minister) বাসবরাজ বোমাইয়ের (Basavaraj Bommai)।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র ‘লভ জিহাদ’ বিতর্ক জোরালো হয়ে ওঠে। হরিয়ানার( Haryana) নিকিতা তোমার (Nikita Tomar) হত্যাকাণ্ডে ‘লভ জিহাদের’ অভিযোগ এনেছিলেন মৃতার পরিবারই। একটি বেসরকারি অলঙ্কার সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারকেও ‘লভ জিহাদের’ তকমা দেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তড়িঘড়ি ওই প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য হয় সংস্থা। এই প্রসঙ্গে বাসবরাজের(Basavaraj) দাবি, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। লভ জিহাদ কেন্দ্র করে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা। মূলত, যুবসমাজের মধ্যে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে লভ জিহাদ নিয়ন্ত্রণ আইন আনার দাবি জানিয়েছেন বাসবরাজ।
উত্তরপ্রদেশ (Utter Pradesh) , হরিয়ানা(Haryana), পঞ্জাব(Punjab)-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে ‘লভ জিহাদের’ আঁতুড়ঘর বলে চিহ্নিত করেছেন বোমাই। নতুন আইন প্রণয়নের মধ্যে দিয়ে ‘লভ জিহাদকে’ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। কী এই ‘লভ জিহাদ’? কট্টর হিন্দুবাদীদের মতে, ‘লভ জিহাদ’ মূলত মুসলিম ছেলে ও অ-মুসলিম মেয়েদের মধ্যে প্রেম বিবাহ। অতি অবশ্যই ধর্মান্তরিকরণ। আর এতেই আপত্তি কট্টর ডানপন্থীদের।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কর্ণাটক(Karnataka) সরকার তরফে জানানো হয়, অনেক বড় অংশ মহিলা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। এমন অভিযোগ কেরলেও ওঠে। ২০১২ সালে তদন্ত করে দেখার পর কেরল পুলিস ‘অস্তিত্ত্বহীন অভিযান’ হিসেবে ঘোষণা করে। ধর্মান্তরণের পেছনে লভ জিহাদ-ই যে দায়ী এমন প্রমাণ মেলেনি। সবটাই অনুমেয়।