চেন্নাই: বিবাহিত হয়েও অন্য পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন! সেই ক্ষেত্রে কি ‘লিভ ইন পার্টনার’ হিসেবে কি স্বীকৃতি দেওয়া যায়? এই বিষয়েই বড় রায় দিল মাদ্রাসা হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, বিবাহিত অবস্থায় অন্য কারও সঙ্গে সহবাস করা বিয়ের সমতুল্য নয়। বিবাহিত পুরুষের ক্ষেত্রে এমন হলে মহিলাকে উপপত্নী হিসেবে ধার্য করা হবে। বিচারপতি আরএমটি তীকা রামানের নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে বিয়ের মতো সম্পর্ক রাখা সম্ভব হয় না।
এই পরিস্থিতিতে সঙ্গী বা লিভ ইন পার্টনার একে অপরের সম্পত্তির অধিকার দাবি করতে পারবেন না। পি জয়াচন্দ্রন নামে এক ব্যক্তির করা আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত একটি বাড়ির মালিকানা তাঁকে না দিয়ে তাঁর লিভ ইন পার্টনারের বাবাকে দিয়ে দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বিবাহিত ও তাঁর ৫ সন্তান আছে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ও মার্গারেট আরুলমোঝি নামে আর এক মহিলার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন জয়াচন্দ্রন। তিনি দাবি করেন আগের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেন হয়েছে তাঁর, তবে কোনও আইনি প্রমাণ নেই। আড়াই বছর বাদে আরুলমোঝির মৃত্যু হয়।
এরপরই বাড়ির অধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মৃত মহিলার বাবা বাড়ির দাবি জানান। নিম্ন আদালতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, মেয়ের সম্পত্তির আইনি অধিকার তাঁর বাবার। এ ক্ষেত্রে জয়াচন্দ্রনের আগের বিয়ে বিচ্ছেদের প্রমাণও নেই, আবার আরুলমোঝিকে বিয়েও করেননি তিনি। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশই বহাল রাখল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।