মুম্বই: বিধানসভা ভোটের আগে, দেশি গরুকে ‘রাজ্য মাতা-গোমাতা’ হিসাবে ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার। বৈদিক যুগ থেকে দেশি গরুদের তাত্পর্য উল্লেখ করে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর), একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে একনাথ শিন্ডে সরকার। সরকারের দাবি, তাদের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় সমাজে গরুর আধ্যাত্মিক, বৈজ্ঞানিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বিশেষ করে কৃষি ও পুষ্টিতে তাদের অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা তুলে ধরবে। রাজ্যের কৃষি, দুগ্ধ উন্নয়ন, পশুপালন এবং মৎস্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশি গরুর দুধের পুষ্টিগুণ, আয়ুর্বেদিক ও ‘পঞ্চগব্য’ চিকিত্সায় তার ব্যবহার এবং জৈব পদ্ধতিতে গোবর-সারের উপকারিতা-সহ বিভিন্ন কারণে ভারতীয় সমাজে গরুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মহারাষ্ট্র সরকার এই পদক্ষেপ করল।
আগামী নভেম্বর মাসেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ঠিক তার আগেই মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল। তবে শুধু দেশি গরুকে রাজ্যমাতা – গোমাতা হিসেবে ঘোষণা করাই নয়, এদিন একনাথ শিন্ডের সভাপতিত্বে, মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা একটি গোপালকদের জন্য একটি ভর্তুকি প্রকল্পর ঘোষণাও করেছে। এই প্রকল্পের আওতায়, মহারাষ্ট্রর গোশালাগুলি দেশি গরু পালনের জন্য দিন প্রতি ৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। একনাথ শিন্ডের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “গোশালাগুলির আয় কম হওয়ায় তারা অনেক সময়ই গোশালা চালানোর ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। তাই তাদের শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র গোসেবা কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পটি অনলাইনে চালু করা হবে। প্রতিটি জেলায় জেলায় একটি করে জেলা গোশালা যাচাই কমিটি থাকবে।”
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেছেন, “আমাদের কৃষকদের জন্য দেশি গরু হল আশীর্বাদ। তাই, আমরা তাদের ‘রাজ্য মাতা’র মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দেশি গরু পালনের জন্য গোশালাগুলির সাহায্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছি।” মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী, মঙ্গলপ্রভাত লোধা বলেছেন, “গোসেবা আয়োগে নিবন্ধিত গোশালাগুলিতে দেশি গরুর জন্য ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এটি মহারাষ্ট্রে দেশি গরুর সুরক্ষা এবং লালন-পালনের জন্য বড় সহায়তা দেবে। এর ফলে গোশালাগুলি ভালভাবে কাজ করতে পারবে।”