UAPA: ইউএপিএ আইনে ধৃতদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ৩০ বছরের কম

Unlawful Activities Prevention Act: সবথেকে বেশি গ্রেফতার হয়েছে উত্তর প্রদেশ, মণিপুর এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

UAPA: ইউএপিএ আইনে ধৃতদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ৩০ বছরের কম
শহরে ফের সক্রিয় এটিএম প্রতারণা চক্র (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 10:48 PM

নয়া দিল্লি : জঙ্গি কার্যকলাপ দমনের জন্য ইউএপিএ আইনে গ্রেফতারিতে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। বিগত তিন বছরে ইউএপিএ আইনের আওতায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অর্ধেকের বেশির বয়স ৩০ বছরের কম। সবথেকে বেশি গ্রেফতার হয়েছে উত্তর প্রদেশ, মণিপুর এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

ধৃতদের অর্ধেকের বয়স ৩০ বছরের কম

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে লোকসভায় এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইউএপিএ আইনের আওতায় মোট ৪ হাজার ৬৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৫০১ জন অর্থাৎ, প্রায় ৫৩.৩২ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কম।

গ্রেফতারির তালিকায় শীর্ষে উত্তর প্রদেশ

রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সবথেকে বেশি গ্রেফতার হয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্য়ে উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার হয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৯৩১ জন অর্থাৎ প্রায় ৬৯.৫৮ শতাংশের বয়স ৩০ শতাংশের কম। এর পরেই রয়েছে মণিপুর। সেখানে মোট গ্রেফতার হওয়া ৯৪৩ জনের মধ্যে ৪৯৯ জন অর্থাৎ ৫২.৯১ শতাংশের বয়স ৩০ শতাংশের কম। আর জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রেফতার হওয়া ৭৫০ জনের মধ্যে ৩৬৬ জনের বয়সি ৩০ বছরের কম।

এখনই আইনে সংশোধনের কথা ভাবছে না কেন্দ্র

সোমবার লোকসভায় একটি লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে এটিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে বর্তমানে এই ইউএপিএ আইনে কোনও সংশোধনী আনার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। আর এই নিয়ে বিরোধীদের মধ্যেও তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের খালাস হওয়া এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এটি দেশের বিস্তৃত বিচার প্রক্রিয়ার কারণে হয়। বিচারের সময়কাল, সাক্ষ্য প্রমাণের মূল্যায়ন এবং সাক্ষীদের যাচাই করার মতো বিভিন্ন কারণের উপর এটি নির্ভর করে। সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “আইনের অপব্যবহার রোধ করার জন্য ইউএপিএ আইনে পর্যাপ্ত সাংবিধানিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং বিধিবদ্ধ সুরক্ষা রয়েছে।”

উল্লেখ্য এই আইনে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবিলায় বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের উল্লেখ রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমন করার সময় জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে (এনআইএ) বিশেষভাবে অতিরিক্ত ক্ষমতা পায় এই আইনের আওতায়। অগস্টের শুরুতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যসভায় জানিয়েছিল যে ইউএপিএ আইনের আওতায় ১৯৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, শুধুমাত্র ৩৪ জনকে আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) এর পরিসংখ্যানে ২০১৯ সালে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় ১৯৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : Congress-TMC Tussle: বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক সোনিয়ার, ডাক পেল না মমতার দল