নয়া দিল্লি: নতুন বছরে আবার জেলযাত্রা কেজরীবালের? ফের গ্রেফতার হতে চলেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? ইডির হাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আসতেই এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন দিয়েছেন।
নতুন বছর, ২০২৫ সালেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। চতুর্থবার দিল্লির গদি দখল করতে মরিয়া আম আদমি পার্টি। কিন্তু ভোটের আগেই চাপে দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। জানা গিয়েছে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর কেজরীবালের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ৬ নভেম্বরের রায় উল্লেখ করেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন, ২০০২ -এ অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদনের আর্জি জানিয়েছিল। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে পাঠানো চিঠিতে ইডি বলেছিল, দিল্লি আবগারি নীতিকে কেন্দ্র করে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ৬ নভেম্বরের রায়ে নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যায় না। সেই কারণেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে এই আর্জি জানিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের অনুমোদনের প্রয়োজন হলেও, আগে সরকারি কর্মী বা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য ইডির কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ত না। কিন্তু গত নভেম্বরে কেজরীবাল দিল্লি হাইকোর্টে ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট বাতিলের আবেদন জানান। যুক্তিতে বলেছিলেন, যে সময়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছে ইডি, সেই সময় তিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতিতে ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরীবাল। প্রথমে ২১ মার্চ ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে ২৬ জুন সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দুটি মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন কেজরীবাল।
এদিকে, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের থেকে ইডির অনুমতি পাওয়ার খবর রটতেই বিস্ফোরক দাবি করেছে আম আদমি পার্টি। তাদের দাবি, লেফটেন্যান্ট গভর্নর এমন কোনও অনুমোদন দেননি। ইডির কাছে এমন নথি থাকলে, সেই কাগজ দেখাক।