AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Al‑Falah University: মুজাম্মিল-শাহিনদের ‘গুরু’র বাড়ি ভাঙতে দিল না হাইকোর্ট, জারি সাময়িক স্থগিতাদেশ

High Court on Al‑Falah University: বৃহস্পতিবার মধ্য প্রদেশে হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি। বিচারপতি প্রণয় ভর্মার বেঞ্চে গৃহিত হয় মামলা। শুনানি পর্বে মামলাকারী আদালতকে জানান, বাড়ির ওই অংশ ভাঙার জন্য তাঁকে মাত্র তিন দিনের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে। সেই সুবাদেই মিলে যায় 'ছাড়'।

Al‑Falah University: মুজাম্মিল-শাহিনদের 'গুরু'র বাড়ি ভাঙতে দিল না হাইকোর্ট, জারি সাময়িক স্থগিতাদেশ
মুজাম্মিল, জাওয়াদ ও শাহিন (বাঁদিক থেকে)Image Credit: X
| Updated on: Nov 22, 2025 | 9:22 PM
Share

নয়াদিল্লি: চিকিৎসক ‘জঙ্গি’ মুজাম্মিল-শাহিনদের বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকীর পৈতৃক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হাত থেকে আপাতত বাঁচাল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছে সে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই হরিয়ানার ফরিদাবাদের ধৌজ গ্রামে স্থিতু আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এসে গিয়েছে শিরোনামে। ইতিমধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে ন্যাক। ফরিদাবাদের বিস্ফোরক মামলায় ধৃত মুজাম্মিল-শাহিন, দিল্লি বিস্ফোরণে আত্মঘাতী জঙ্গি উমর সকলের সঙ্গেই এই বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাধারণের চোখে এই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে ‘জঙ্গির আঁতুড়ঘর’।

এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তথা আচার্য জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকীর পৈতৃক সম্পত্তির বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। ওই রাজ্য়ে মহুতে মুকেরি মহল্লায় সিদ্দিকীর এই পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়ির একটি অংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সূত্র ধরেই বাড়ি ওই অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। একটি নোটিসও পাঠায় তাঁরা। এরপরেই সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দ্বারস্থ হন আব্দুল মজিদ। তিনি জাওয়াদ সিদ্দিকীর আত্মীয়। বর্তমানে ওই বাড়িতেই থাকেন।

বৃহস্পতিবার মধ্য প্রদেশে হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি। বিচারপতি প্রণয় ভর্মার বেঞ্চে গৃহিত হয় মামলা। শুনানি পর্বে মামলাকারী আদালতকে জানান, বাড়ির ওই অংশ ভাঙার জন্য তাঁকে মাত্র তিন দিনের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে। সেই সুবাদেই মিলে যায় ‘ছাড়’। অবশ্য আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এটা প্রথম নয়। ভবনের ওই অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য এর আগেও নোটিস দিয়েছিল ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। তবে তা ১৯৯৬-৯৭ সালে। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩০ বছর। আবারও নোটিস জারি করেছে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড।

মধ্য় প্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশ, এই অবস্থায় কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। মামলাকারীর পক্ষ শুনতে হবে। আপাতত আব্দুল মজিদকে ১৫ দিনের মধ্যে নিজের বক্তব্য এবং উপযুক্ত নথি পেশ করার সময় দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর আরও ১০ দিন পর্যন্ত মামলাকারীর বাড়ির বিরুদ্ধে বোর্ড কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি।