দেশ: হেলথ ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপনে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এই অভিযোগে স্টোরিয়া সংস্থার (Storia Foods & Beverages) অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োয় সনিয়া-রাহুলকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ এনে মুম্বই কংগ্রেস ও মুম্বই যুব কংগ্রেসের একটি দল সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেখানে কোম্পানির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের। এমনকি এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা আবার স্বীকার করে নিয়ে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছে মুম্বই কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ঠিক কী ঘটেছে?
সম্প্রতি স্টোরিয়া সংস্থার একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুকরণে দুই চরিত্রকে ব্যবহার করা হয়। এবং সেই পণ্য প্রচারের ভিডিয়োর মাধ্যমে কংগ্রেস সভানেত্রী ও তাঁর পুত্রকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আর এই অভিযোগ তুলেই কার্যত হুলুস্থুল পড়ে যায় মুম্বই শহরে। একটি বিবৃতি দিয়ে মুম্বই কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, সভাপতি ভাই জগতাপ ও সাধারণ সম্পাদক নীতিন সাওয়ান্তের নেতৃত্বে তারা অভিযুক্ত সংস্থার ইস্ট আন্ধেরি-র অফিস ভাঙচুর করেছে!
प्रेस नोट – 27/04/21
Press Note – 27/04/21 pic.twitter.com/lFvPOTEZoi— Mumbai Congress (@INCMumbai) April 27, 2021
আবার এই ঘটনার পর ভাই জগতাপ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ওই সংস্থার অফিসে তাণ্ডব চালানোর জন্য তিনি সঙ্গী ও কর্মীদের বাহবা দেন। জানিয়ে দেন, এই ধরনের ‘খারাপ’ বিজ্ঞাপনী প্রচার কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পাশাপাশি অবিলম্বে ওই বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো তুলে না নিলে মুম্বইয়ের বুকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ডাক দেন তাঁরা।
आदरणीय सोनियाजी गांधी व आदरणीय राहुलजी गांधी यांची STORIA कंपनीने जाहिराती मधून केलेल्या बदनामीला चोख उत्तर दिल्याबद्दल मुंबई काँग्रेस सरचिटणीस नितीन सावंत तसेच युथ काँग्रेसच्या कार्यकर्त्यांचे अभिनंदन व कौतुक !!
असले घाणेरडे धंदे खपवून घेतले जाणार नाहीत याची नोंद घ्यावी!! ☝️ pic.twitter.com/e68iUXwrZG
— Bhai Jagtap – भाई जगताप (@BhaiJagtap1) April 27, 2021
এদিকে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে এ পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে মুম্বই কংগ্রেস ইউনিট এমন এক সময়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন যখন বানিজ্য নগরীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ছয় লক্ষ।