Modi on Electoral Bond: ‘সবাই পস্তাবে’, ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Apr 15, 2024 | 7:27 PM

Modi on Electoral Bond: সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী উল্লেখ করেন, কালো টাকার ব্যবহার আটকাবেন বলেই এই ইলেকটোরাল বন্ডের কথা ভেবেছিলেন তিনি। মোদী মনে করেন, এই বন্ডের মাধ্যমে স্বচ্ছতা তৈরি হয়েছিল। কে টাকা দিচ্ছে, কোথায় দিচ্ছে, তা নিয়ে একটা পরিষ্কার ছবি সামনে আসছিল।

Modi on Electoral Bond: সবাই পস্তাবে, ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার
Image Credit source: ANI

Follow Us

নয়া দিল্লি: সম্প্রতি ইলেকটোরাল বন্ড নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজনৈতিক দলগুলি ওই বন্ডের মাধ্যমে যে টাকা পাচ্ছিল তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এই বন্ড নিজে অবস্থানে অনড় রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বন্ড চালু করার সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, সে কথাই বললেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এইভাবে বন্ড নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে পস্তাতে হবে সবাইকে। এর ফলে দেশে আবারও কালো টাকার লেনদেন বাড়বে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী উল্লেখ করেন, কালো টাকার ব্যবহার আটকাবেন বলেই এই ইলেকটোরাল বন্ডের কথা ভেবেছিলেন তিনি। মোদী মনে করেন, এই বন্ডের মাধ্যমে স্বচ্ছতা তৈরি হয়েছিল। কে টাকা দিচ্ছে, কোথায় দিচ্ছে, তা নিয়ে একটা পরিষ্কার ছবি সামনে আসছিল।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ভোটে কালো টাকার ব্যবহার কোনও নতুন ইস্যু নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে চর্চা হয়েছে, তবে সমাধানের রাস্তা পাওয়া যায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, বিরোধী দল হিসেবে থাকাকালীন বিজেপি নিয়ম তৈরি করেছিল যে, চেক ছাড়া টাকা নেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে অনেকে টাকা দিতে তৈরি থাকলেও চেকের মাধ্যমে দিতে দ্বিধাবোধ করতেন। এছাড়া ১০০০, ২০০০-এর নোট নিষিদ্ধ করেও এই কালো টাকার ব্যবহার আটকাতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘ভোটে তো টাকা খরচ হবেই। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। মানুষের টাকাতে হয় ভোট।’

একই সঙ্গে কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোদী। তিনি জানান, দেশ জুড়ে মোট ৩০০০টি সংস্থা ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৬টি সংস্থার বিরুদ্ধে ইডি বা কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত হয়েছে। আর মাত্র ১৬টি সংস্থার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তারা ঠিক সেই সময়েই টাকা দিয়েছেন, যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি চলে। প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ও ১৬টি সংস্থার ৩৭ শতাংশ টাকা গিয়েছিল বিজেপির কাছে, আর বাকিটা গিয়েছিল অন্যান্য দলের কাছে। তারপরও বিরোধীরা কেন বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Next Article