নয়া দিল্লি: এয়ারক্রাফট সংক্রান্ত আইনে এল বড়সড় বদল। ১৯৩৪ সালের এয়ারক্রাফট অ্যাক্টের বদলে কার্যকর হল ‘ভারতীয় বায়ুহান বিধেয়ক’। ৯০ বছরের পুরনো আইন বদল হওয়া কার্যত এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। ভারতের বিমান পরিষেবা আরও বেশি আধুনিক করতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা বিশ্বের বিমান পরিষেবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই কিছু নয়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
নতুন এই বিলে যে মূল বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে তা হল-
২১ বার সংশোধন করা এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্ট ১৯৩৪ বদলে ফেলতে হবে।
যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।
এয়ারক্রাফট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভারত যাতে স্বনির্ভর হতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, আইনের শিরোনাম ইংরেজি থেকে হিন্দি করে দিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, কীভাবে উড়ান স্কিমের আওতায় ৮৬ টি আঞ্চলিক এয়ারপোর্ট চালু করা হয়েছে, আর আট বছরে খুলে গিয়েছে ৬০৯ টি রোড।
একইসঙ্গে যাত্রীদের যাতে অধিক ভাড়া গুণতে না হয় সেদিকেও নজরে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই নজরদারিতে দেখা গিয়েছে গত বছরের দীপাবলির তুলনায় এবছরের টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধির হার অনেকটাই কম। এছাড়া সম্প্রতি যেভাবে বিমানে বারবার হুমকির খবর পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে যে সরকার কতটা সতর্ক সেকথা উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী। বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাকেও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও সংস্থা একচ্ছত্রভাবে ব্যবসা করতে না পারে।
তবে বিলটির নাম ইংরেজি থেকে হিন্দিতে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে দ্বিমত তৈরি হয় সাংসদদের মধ্যে। কেউ কেউ মনে করেন এই নাম পরিবর্তন করার ফলে ভারতীয় সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়েছে, আবার একদম মনে করেন এর কোন প্রয়োজনে ছিল না।