দান্তেওয়াড়া: মাওবাদী দমন অভিযানে বড় সাফল্য। ছত্তীসগঢ়ের বাস্তার অঞ্চলে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল ৯ মাওবাদীর। যৌথ অভিযান শেষে একথা জানিয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক।
বাস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ সুন্দররাজ পি জানান, এদিন সকাল সাড়ে দশটায় দান্তেওয়াড়া ও বীজাপুর জেলার সীমান্তে জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। মাওবাদী দমন অভিযানে ছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান চালানো হয় বলে আইজিপি জানা। মাওবাদীদের ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। তখনই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের গুলির লড়াই চলে। গুলির লড়াই শেষে তল্লাশি চালিয়ে ৯ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। আইজিপি সুন্দররাজ পি জানান, ৯ মাওবাদীর দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ জখম হননি। আরও কোনও মাওবাদী এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তল্লাশি অভিযান জারি রাখে নিরাপত্তা বাহিনী। চলতি বছরে ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১৫৪ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ। তিনি জানান, মাওবাদীদের জন্য নতুন আত্মসমর্পণ নীতি আনা হবে। তাই মাওবাদীরা যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেই আর্জি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মাওবাদীদের সন্ত্রাস দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এখনও পর্যন্ত মাওবাদী হামলায় অন্তত ১৭,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)