নয়া দিল্লি: ২০২১-এর নির্বাচনে কোনও আহামরি ফল করেনি বঙ্গ বিজেপি। তবে ফল প্রকাশের কয়েক মাসেই মধ্যেই ‘উপহার’ পেয়েছিল বাংলা। কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছিলেন বাংলার চার সাংসদ। এবার ফের মন্ত্রিসভায় রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক দফা বৈঠকও হয়েছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের খবর, এবারও বাংলার জন্য অপেক্ষা করছে ‘উপহার’। না কোনও নতুন মুখ নয়, দুই মন্ত্রীর ‘পদোন্নতি’ হতে পারে। সোমবার প্রগতি ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে হয় একটি বৈঠক। বৈঠক সূত্রেই এই খবর সামনে এসেছে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রয়েছেন বাংলার চার সাংসদ- সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা ও নিশীথ প্রামাণিক। এরা প্রত্যেকেই প্রতিমন্ত্রী। শান্তনু ঠাকুর জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র ,যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে পূর্ণ মন্ত্রী করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রদবদল অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে করা হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও জন বার্লার কোনও পদোন্নতির কথা শোনা যায়নি।
কেউ কেউ বলছেন, বেশ কয়েকটা মাপকাঠিতে বিচার করেই মন্ত্রী করা হবে। রাজ্যভিত্তিক জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রাখা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মতুয়া মুখ শান্তনু ঠাকুর আর রাজবংশীদের প্রতিনিধি নিশীথের নম্বর বেশি থাকতেই পারে। তবে দফতর বদলাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ভাল না হলেও কয়েকটি জায়গায় বিজেপির ফল ছিল উল্লেখযোগ্য। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করে, সেই যে সব জায়গায় ভাল ফল হয়েছিল, সেখানকার সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই চার সাংসদকে বেছে নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা।
গত সপ্তাহেই এক দফা বৈঠক হয়েছে দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ একাধিক শীর্ষনেতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। আজ, সোমবার ফের বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।